ডেস্কনিউজঃ ইরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, কারাগার থেকে অগ্নিশখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছে।
বিবিসি জানিয়েছে, কারাগার থেকে সতর্কতামূলক সাইরেন ও গুলির শব্দও শোনা যায়৷ এখানে মূলত রাজনৈতিক বন্দিদের আটকে রাখা হয়।
একজন কর্মকর্তার বরাতে রাষ্ট্রয়াত্ব গণমাধ্যম জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের জন্য ‘উত্তেজনা’ ও ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডও’ দায়ী।
কুর্দি তরুণী মাসা আমিনিকে ঘিরে চলা তীব্র আন্দোলনের মধ্যেই ইরানের কুখ্যাত কারাগারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল৷
কারাগারে আগুনের বিষয়ে বিবিসি পার্সিয়ান বিভাগের সাংবাদিক রানা রাহিমপুর বলছেন, কারাগারের ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রতিক বিক্ষোভকারীদের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের সম্পৃক্ততা থাকতেও পারে, কারণ শত শত বিক্ষোভকারীকে এই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, বিক্ষোভের সঙ্গে কারাগারে আগুনের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই, বরং এর পেছনে অপরাধীরা রয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, সাধারণ অপরাধীরা এই দাঙ্গা ঘটিয়েছে, রাজনৈতিক বন্দীরা এর সঙ্গে জড়িত নয়।
ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, শনিবারের অগ্নিকাণ্ডের সময় বেশ কয়েকজন ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী ও দাগী আসামী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পালানোর পথ বন্ধ রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করার কারণে এবং সেগুলো তাদের জানা না থাকার কারণে তারা ধরা পড়ে যায়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, রাজধানী তেহরানের এভিন কারাগারে শনিবার রাতে চুরি ও আর্থিক অনিয়মের দায়ে দণ্ডিত অপরাধীরা নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের জের ধরে কারাগারের কাপড় তৈরির কারখানায় আগুন লেগে যায় এবং তা দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় নিরাপত্তা বাহিনী ও ফায়ার ব্রিগেড কর্মীদের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং শত শত বন্দি ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে রক্ষা পায়।
ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার রাতের ঘটনায় চুরির অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামী অগ্নিকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া, এ ঘটনায় ৬১ জন আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ৫১ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। ভর্তি রোগীদের মধ্যে মাত্র চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কিউএনবি/বিপুল/১৬.১০.২০২২/ রাত ১০.২৪