মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন

বিশ্বনবী (সা.) যেভাবে রোগীর শুশ্রূষা করতেন

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২
  • ৯৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : সাহাবাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে রাসুল (সা.) তাকে দেখতে যেতেন। রোগীর সেবা-শুশ্রূষা এবং তাকে দেখতে যাওয়ার জন্য রাসুল (সা.) আদেশ করেছেন। বারাআ ইবনে আজিব (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) আমাদের আদেশ করেছেন রোগীর সেবা করার, জানাজায় অংশগ্রহণ করার, হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়ার, কসম পুরা করায় সহযোগিতা করার, মজলুমকে সাহায্য করার, সালামের বিস্তার ঘটানোর এবং কেউ দাওয়াত দিলে তা কবুল করার নির্দেশ দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫১৭৫) রাসুলের এক গোলাম ছিল, যে ইহুদি ধর্মাবলম্বী।

সে অসুস্থ হলে, রাসুল (সা.) তাকে দেখতে গেলেন। রাসুলের চাচা আবু তালেব, যিনি মুশরিক ছিলেন, অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর তাকেও দেখতে গিয়েছেন। রোগীর জন্য দোয়া করতেন : রোগীর কাছে গিয়ে তিনি তাকে জিজ্ঞেস করতেন, তার পানাহারের ক্ষেত্রে কোনো চাহিদা আছে কি না। যদি সে এমন কোনো জিনিস বলত, যা তার জন্য ক্ষতিকর নয়, তাহলে তিনি তাকে তা দেওয়ার জন্য আদেশ করতেন। এরপর তিনি রোগীর শরীরে ধরে বিভিন্ন ধরনের দোয়া করে দিতেন। আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) কোনো রোগীকে দেখতে গেলে বলতেন, (অর্থ) : হে মানুষের প্রভু, তুমি রোগ দূর করো, তুমি সুস্থতা দান করো, তুমিই সুস্থতা দানকারী। তোমার আরোগ্যদান ব্যতীত কোনো আরোগ্য নেই। তুমি এমনভাবে সুস্থতা দান করো, যাতে কোনো রোগই বাকি না থাকে। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৬৫)

রোগীর মনে সাহস জোগতে রোগীকে তিনি অভয় দিতেন। তাকে হতাশ না করে আশান্বিত করতেন। স্বস্তির বাণী শুনিয়ে তার মনকে প্রফুল্ল রাখতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) এক বেদুঈনের কাছে গিয়েছিলেন তার রোগ সম্পর্কে জানার জন্য। বর্ণনাকারী বলেন, আর নবী (সা.)-এর নিয়ম ছিল, তিনি যখন কোনো রোগীকে দেখতে যেতেন, তখন তাকে বলতেন, কোনো ক্ষতি নেই। ইনশাআল্লাহ, তুমি তোমার গুনাহ থেকে পবিত্রতা লাভ করবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৬৫৬)

শরীরে ব্যথা হলে চিকিৎসা করতেন : কারো শরীরে যদি কোনো ব্যথা থাকত এবং রাসুল (সা.)-কে সে বলত, তাহলে তিনি বিশেষ এক পদ্ধতিতে চিকিৎসা করতেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) নিয়ম করে ছিলেন যে মানুষ তার (শরীরের) কোথাও অসুস্থতা অনুভব করলে অথবা তাতে কোনো ফোঁড়া বা আঘাতপ্রাপ্ত (হয়ে) থাকলে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর আঙুল দ্বারা এমন করতেন (এ কথা বলে এভাবে করার ধরন বোঝানোর জন্য)। বর্ণনাকারী সুফিয়ান (রহ.) তার বুড়ো আঙুল জমিনে রাখলেন, অতঃপর তা তুলে নিলেন এবং সে সময় এ দোয়া পড়তেন (আরবি) ‘বিসমিল্লা-হি তুরবাতু আরজিনা বিরিকাতি বাজিনা—লিইউশফা সাকিমুনা বিইজনি রব্বিনা। ’ অর্থাৎ আল্লাহর নামে আমাদের জমিনের ধুলামাটি, আমাদের কারো (মুখের) লালার সঙ্গে (মিলিয়ে), আমাদের পালনকর্তার আদেশে, তা দিয়ে আমাদের অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য লাভের উদ্দেশে (মালিশ করছি)। আমাদের রোগীর সুস্থতা লাভের উদ্দেশে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৬১২)

রাসুল (সা.) অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যেকোনো সময় চলে যেতেন এর জন্য নির্ধারিত কোনো সময় ছিল না। রাসুল (সা.) বলেছেন, অসুস্থের সেবাকারী ব্যক্তি আল্লাহর রহমতে আচ্ছাদিত থাকে। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, যখন কোনো মুসলিম তার মুসলিম ভাইয়ের রোগ সেবায় নিয়োজিত হয়, তখন সে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত জান্নাতের ফল-ফলাদি আহরণে রত থাকে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৪৪৭)

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৩ অক্টোবর ২০২২,খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:৫৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit