সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০২ পূর্বাহ্ন

জাতিসংঘের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে চীন

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৯৪ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিনজিয়ান প্রদেশে চীন উইঘুর মুসলমানদের প্রতি ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন’ করেছে বলে জাতিসংঘ যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে চীন।

এ বিষয়ে এক দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। চীন জাতিসংঘকে প্রতিবেদনটি প্রকাশ না করার আহ্বান জানিয়েছিল। খবর বিবিসি ও আরব নিউজের।

বেইজিং এটিকে পশ্চিমাদের সাজানো একটি ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছে। প্রতিবেদনে উইঘুর মুসলিম এবং অন্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে, চীন যা অস্বীকার করে।

জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলেছেন, তারা নির্যাতনের  ‘গ্রহণযোগ্য প্রমাণ’ খুঁজে পেয়েছেন, যা সম্ভবত ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’।

তারা সংখ্যালঘুদের অধিকার দমন করার জন্য একটি অস্পষ্ট জাতীয় নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা এবং ‘বিধিবহির্ভূতভাবে আটকে রাখার ব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠার জন্য চীনকে অভিযুক্ত করেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটক বন্দিদের সঙ্গে অপরাধমূলক আচরণ করা হয়েছে, যার মধ্যে যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঘটনা রয়েছে।

কেউ কেউ জোরপূর্বক পরিবার-পরিকল্পনা ও জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতির বৈষম্যমূলক প্রয়োগের শিকার হয়েছেন।

জাতিসংঘ সুপারিশ করেছে. চীন যেন অবিলম্বে স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত সব ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

জাতিসংঘ বলছে, বেইজিংয়ের কিছু পদক্ষেপ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসাবে গণ্য হতে পারে।

জাতিসংঘ অবশ্য বলেছে, চীনের সরকার কত লোককে আটকে রেখেছে তা নিশ্চিত করা যায়নি। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো অনুমান করে যে, উত্তর-পূর্ব চীনের শিনজিয়ান অঞ্চলের শিবিরে ১০ লাখের বেশি লোককে আটক রাখা হয়েছে।

শিনজিয়ানে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ উইঘুর মুসলমান বাস করে। এর আগে বেশ কয়েকটি দেশ শিনজিয়ানে চীনের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা বলে বর্ণনা করেছিল।

প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার আগেই বেইজিং সেটি দেখেছে এবং কোনো ধরনের নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। চীন যুক্তি দিয়েছে যে এই শিবিরগুলো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার একটি হাতিয়ার৷

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে চার বছর দায়িত্বে থাকার পর তার মেয়াদের শেষ দিনে মিশেল ব্যাচেলেটের এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

উইঘুরদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তার পুরো মেয়াদকালে প্রাধান্য পেয়েছে। এক বছরেরও বেশি সময় আগে তার কার্যালয় থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে শিনজিয়ানে গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত চলছে।

কিন্তু প্রতিবেদনটির প্রকাশনা বেশ কয়েকবার বিলম্বিত হয়। ফলে কিছু পশ্চিমা মানবাধিকার গোষ্ঠী অভিযোগ করে যে প্রতিবেদন থেকে কিছু গুরুতর অভিযোগ চেপে যাওয়ার জন্য বেইজিং অনুরোধ করছে।

এমনকি প্রতিবেদনটি প্রকাশের শেষ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেও চীন ব্যাচেলেটকে এটি প্রকাশ না করার জন্য চাপ দিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্বীকার করেন যে তিনি এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা বা না করার জন্য প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিলেন।

কিউএনবি/অনিমা/০২,০৯.২০২২/সকাল ১১.২০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit