সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গাসংকট সমাধানে ঢাকার ১৪ দূতাবাসের বিবৃতি

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২
  • ১২৫ Time View

ডেস্ক নিউজ : রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে ঢাকার ১৪টি দূতাবাস ও হাইকমিশন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রোহিঙ্গা সংকটের পাঁচ বছরপূর্তি উপলক্ষে যৌথ বিবৃতিতে দেশগুলো এই অঙ্গীকারের ঘোষণা দেয়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, পাঁচ বছর পর আমরা ২০১৭ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের ভয়ঙ্কর ঘটনা স্মরণ করি। যা প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার থেকে তাদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছিল।

আমরা রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার মুখে তাদের অবিশ্বাস্য সহনশীলতা এবং সাহসকে স্বীকার করি। আমরা বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের উদারতা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অব্যাহত আশ্রয় দেওয়ার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, আমরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেছি। পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবাসন ও এই সঙ্কটের সমাধান চাই।

আমরা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দ্বারা মিয়ানমারজুড়ে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদন উদ্বেগের সঙ্গে নোট করছি। আমরা মিয়ানমারে দায়মুক্তির সংস্কৃতির অবসানের আহ্বান জানাই। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক জবাবদিহিমূলক উদ্যোগের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। আমাদের দেশগুলো রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী কিছু ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আমরা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে মিয়ানমারে রাজনৈতিক ও মানবিক সংকট সমাধানেও আমরা চাপ অব্যাহত রাখব, যেন এই সমাধানে অবশ্যই রোহিঙ্গাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা, সুরক্ষা এবং শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক ও জাতীয় অংশীদারদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব। আমরা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে থাকাকালে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনে গুরুত্বের ওপর জোর দিই। একই সঙ্গে শর্ত সাপেক্ষে তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি। এ ছাড়া আমরা কক্সবাজারের স্থানীয় সম্প্রদায়গুলোকে সমর্থন করে যাচ্ছি, যারা শরণার্থীদের আতিথেয়তা দিচ্ছে।

পাঁচ বছর পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের জন্য তাদের সমর্থনে সংহতিতে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে। আমরা এই সংকট এবং এর কারণগুলোর দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাব। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলো হচ্ছে- অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন, ব্রিটিশ হাইকমিশন, কানাডার হাইকমিশন, ডেনমার্কের দূতাবাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল, ফ্রান্সের দূতাবাস, জার্মান দূতাবাস, ইতালির দূতাবাস, নেদারল্যান্ডস দূতাবাস, নরওয়ের দূতাবাস, স্পেনের দূতাবাস, সুইডেনের দূতাবাস, সুইজারল্যান্ডের দূতাবাস ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন রোহিঙ্গারা। এরপর গত পাঁচ বছরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৫ অগাস্ট ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:২১

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit