সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩২ অপরাহ্ন

নবীজির দৃষ্টিতে যারা নিকৃষ্ট মানুষ

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২
  • ১৬২ Time View

ডেস্ক নিউজ : জীবনে বন্ধু চয়নের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। নিকৃষ্ট মানুষ থেকে দূরে থাকা জরুরি। অন্যথায় নিকৃষ্ট মানুষের সংস্পর্শে নিজেদের আমল ও চরিত্র ধ্বংস হতে পারে। আজ আমরা আলোচনা করব এমন কিছু অভ্যাস নিয়ে, যে অভ্যাসের মানুষ নবীজি (সা.)-এর চোখে নিকৃষ্ট ছিল।

দুমুখো মানুষ : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, মানুষের মধ্যে দুই রূপধারী লোক সবচেয়ে নিকৃষ্ট। যে এই দলের নিকট আসে এক রূপ নিয়ে এবং অন্য দলের নিকট আসে অন্য আরেক রূপ নিয়ে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৫২৪)। এ ধরনের মানুষ আমাদের চারপাশে অনেক পাওয়া যায়, যারা আমাদের বন্ধুর বেশে ক্ষতি করে বেড়ায়। এদের থেকে দূরে থাকা উচিত।

যাদের অনিষ্টের ভয়ে মানুষ তাদের থেকে দূরে থাকে : আমাদের আশপাশে এমন অনেক মানুষ পাওয়া যায়, যাদের অনিষ্টের ভয়ে তাদের নিকটাত্মীয়রাও তাদের থেকে দূরে সরে থাকে। রাসুল (সা.) এদের থেকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-এর নিকট প্রবেশের অনুমতি চাইল। তিনি বললেন, তাকে অনুমতি দাও। সে তার বংশের নিকৃষ্ট সন্তান। অথবা বললেন, সে তার গোত্রের ঘৃণ্যতম ভাই। যখন সে প্রবেশ করল, তখন তিনি তার সঙ্গে নম্রভাবে কথাবার্তা বললেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি এর ব্যাপারে যা বলার তা বলেছেন। এখন আপনি তার সঙ্গে নম্রভাবে কথা বললেন। তিনি বললেন, হে আয়েশা! আল্লাহর কাছে মর্যাদায় নিকৃষ্ট সেই ব্যক্তি, যার অশালীন ব্যবহার থেকে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ তার সংসর্গ বর্জন করে চলে। (বুখারি, হাদিস : ৬১৩১)

অনেকে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার জন্য পরিবার কিংবা সমাজের মানুষের সঙ্গে রূঢ় ব্যবহার করে। মানুষকে চাপে রাখার চেষ্টা করে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে যারা সম্মান আদায় করতে চায়, তাদের মূল অবস্থান উপরোক্ত হাদিসে স্পষ্ট করা হয়েছে। তাই প্রভাব বিস্তারের জন্যও এমনটি করা উচিত নয়।

ইলম অনুযায়ী আমল না করা : আর নিকৃষ্ট পাপাচারী ব্যক্তি, যে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, কিন্তু পাপের কাজে কোনো পরোয়া করে না। (নাসায়ি, হাদিস : ৩১০৬)

মুসলমান হিসেবে আমরা সবাই কমবেশি কোরআন শিখি। হালাল-হারামের বেশির ভাগ বিষয়েই আমরা স্পষ্ট ধারণা রাখি। তবু পার্থিব স্বার্থে অনেক সময় আমরা তার তোয়াক্কা করি না। রাসুল (সা.) এমন লোকদের নিকৃষ্ট বলেছেন। তাই আমাদের নিজেদেরও এমন অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত। যারা এমনটি করে তাদের থেকে দূরে থাকা উচিত।

যারা সব ক্ষেত্রে দুনিয়াকে প্রাধান্য দেয় : আবু উমামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি অপরের পার্থিব স্বার্থে আখিরাত বরবাদ করেছে, কিয়ামতের দিন সে হবে আল্লাহর নিকট সর্বপেক্ষা নিকৃষ্ট ব্যক্তি। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৯৬৬)

মানুষ যদি দুনিয়ার ওপর আখিরাতকে প্রাধান্য দিত, তবে পৃথিবীতে সুদখোর, ঘুষখোর, ধর্ষক, সন্ত্রাসী কিছুই থাকত না। তাই আমাদের উচিত জীবনের সব ক্ষেত্রে আখিরাতকে প্রাধান্য দেওয়া। আল্লাহকে ভয় করা। যারা আখিরাতবিমুখ এবং অন্যদের আখিরাত থেকে বিমুখ করার পাঁয়তারা করে, তাদের থেকে দূরে থাকা উচিত।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২১ অগাস্ট ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ২:৪৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit