বাদল আহাম্মদ খান ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনধি : অনেক দূর থেকেই নাকে গন্ধ আসে গাঁজার। ওরসে আগত দর্শনার্থীদের বাধ্য হয়ে স্বাদ নিতে হয় গাঁজার। কারণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া খরমপুরে শাহ সৈয়দ আহাম্মদ গেছুদারাজ (রহ.)ওরফে শাহ পীর কল্লা শহীদের মাজারের ওরস ও মেলাকে কেন্দ্র করে মাজারের চারদিকে প্রকাশ্যে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন করছে একশ্রেণির মাদকসেবী ও কথিত মাজারভক্তরা। এই অবৈধ মাদক বিক্রি ও সেবন যেন এখানে একেবারেই বৈধ। প্রশাসনের সামনেই এখানে চলে গাঁজাসহ নানা মাদক বিক্রি ও সেবন। মাজারে শতাধিক গাঁজার আসর সাজিয়ে বসে সেবনকারীরা। এসব আসরে উঠতি বয়সের যুবকদেরকেও দেখা যায় গাঁজা সেবন করতে। অনেক মাদক ব্যবসায়ী সাধু-সন্ন্যাসী সেজে মাদক বিক্রি ও সেবন করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক সেবন, বিক্রি ও অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে বিরামহীনভাবে।
মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাদেম (মিন্টু) মাদকের কথা স্বীকার করে বলেন, আমাদের মাজার এরিয়ার ভিতরে গাঁজা সেবন সম্পুর্ণ নিষেধ। মাজারে উত্তর ও পশ্চিম দিকে কিছু আসর আমার নজরে এসেছে যা আমি ইতিমধ্যে প্রশাসনকে অবহিত করেছি।বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর পদক্ষেপে যাব। মাদক নির্মূলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেলাব থানার ওসি মো. জাবেদ মাহমুদ বলেন, মূলত সোমবার থেকেই ওরস শুরু। কোনোভাবেই যেন সেখানে মাদক বিক্রি ও সেবন না করা হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।