ডেস্ক নিউজ : সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে অর্থ জমাকারী বাংলাদেশিদের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়নি বলে সুইস রাষ্ট্রদূতের দাবি অস্বীকার করেছে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে তারা বলেছে, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর পক্ষ থেকে যে বিভিন্ন সময় তথ্য চাওয়া হয়েছে। আজ রবিবার (১৪ আগস্ট) স্বপ্রণোদিত হয়ে জানতে চাওয়ার প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ তথ্য দেন আইনজীবীরা।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আদালতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য সঠিক নয় বলেছেন। ’ বিএফআইইউ এর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ আইন কর্মকর্তা বলেন, সুইস ব্যাংক চলতি বছরের ১৬ জুন বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরদিন এগমন্ড সিকিউর ওয়েবের (ইএসডব্লিউ) মাধ্যমে বিএফআইইউ সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যাংক ও ব্যক্তির জমানো অর্থের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের জন্য সুইজারল্যান্ডের এফআইইউকে থেকে অনুরোধ করা হয়। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য পায়নি বাংলাদেশ।
অর্থপাচার ও সন্ত্রাসীকাজে অর্থায়ন প্রতিরোধ, অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য বিএফআইইউ বিদেশি এফআইইউদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে। তবে বিশ্বব্যাপী এ তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম হলো এগমন্ড সিকিউর ওয়েব (ইএসডব্লিউ)। বাংলাদেশ ২০১৩ সালে ইএসডব্লিউ-এর সদস্য হয়। এরপর এসডব্লিউ-এর মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের এফআইইউ-কে এ তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু একজন ছাড়া অন্যদের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বলে জানায় সুইজারল্যান্ড।
কিউএনবি/আয়শা/১৪ অগাস্ট ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:০৫