শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৮ অপরাহ্ন

হেরে গেলেও একে অন্যের পাশে থাকার ঘোষণা

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২
  • ৯২ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন তা জানতে আরও মাসখানেক অপেক্ষা করতে হবে। এখন একের পর এক দুই প্রার্থীর মধ্যে তীর ছোঁড়াছুঁড়ি চলছে।

তবে সাম্প্রতিকতম বিতর্কসভায় লিজ ট্রাস ও ঋষি সুনক দু’জনেই জানালেন, তাদের মধ্যে যিনি জিতবেন, তার মন্ত্রিসভায় অন্য জনের কাজ করতে কোনও সমস্যা হবে না। পারস্পরিক বিরোধ সরিয়ে রেখে নতুন নেতৃত্বকে মেনে নিতে কোনও অসুবিধা হবে না কারও।

উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের ডার্লিংটনে কনজারভেটিভ দলের সাম্প্রতিকতম বিতর্কসভাটি ছিল। সেখানে দু’জনকেই সঞ্চালক জিজ্ঞাসা করেন, অন্য জন প্রধানমন্ত্রী হলে কি তিনি সেই মন্ত্রিসভার সদস্য হতে চাইবেন? দেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক এবং বর্তমান বিদেশ তথা কমনওয়েলথ মন্ত্রী লিজ ট্রাস দু’জনেই একবাক্যে উত্তর দেন, অন্য জন যদি প্রধানমন্ত্রী হন, এবং তাকে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেন, তা হলে তিনি এক বাক্যে সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাবেন। 

সুনকের কথায়, ‘আমাদের দু’জনেরই লক্ষ্য দল ও দেশের উন্নতি। সেই লক্ষ্যে আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে কখনওই পিছপা হব না।’

এই বিতর্কসভায় ঋষি সুনক সরাসরি তার এককালের অতি-ঘনিষ্ঠ বরিস জনসনকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, ‘কনজারভেটিভ দলের বর্তমান এই দুরবস্থার জন্য জনসনই দায়ী।’ 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, কোভিড-নীতি ভেঙে সরকারি বাসভবনে মদের আসর বসানোর জন্য দলের সাধারণ সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন একদা ‘সকলের প্রিয়’ বরিস। তাই সুনকের রাজনৈতিক পরামর্শদাতারা তাকে বুঝিয়েছেন যে, জনসনের সঙ্গে এখন রাজনৈতিক দূরত্ব তৈরি করা প্রয়োজন। সুনকের রাজনৈতিক উত্থান মূলত জনসনের হাত ধরেই। 

মাসখানেক আগেও ওয়েস্টমিনস্টারের অন্দর থেকে শুরু করে টিভির লাইভ বিতর্কসভায়, সুনকের মুখে শুধু বরিস-বন্দনা শোনা যেত। তাই এখন তার স্পষ্ট বরিস-নিন্দা অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলছে। কনজারভেটিভ দলের অনেক শীর্ষ নেতা সুনকের এই ভোলবদলকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ও বলছেন।

৭ জুলাই ইস্তফা দিয়েছিলেন জনসন। নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হবে ৫ সেপ্টেম্বর। এই দু’মাস তিনিই দল ও দেশের দায়িত্ব সামলাবেন বলে প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বরিস। উপপ্রধানমন্ত্রী ডমিনিক র‌্যাবকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী করা হোক, এই দাবি মানেননি।

এ বার দলের ভিতর ও বাইরে থেকে দাবি উঠেছে, প্রধানমন্ত্রী পদে যখন এখনও জনসন রয়েছেন, তা দলে দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের মোকাবিলায় এখনই কোনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন তিনি। কিন্তু ঘনিষ্ঠদের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে এই ‘গুরুদায়িত্ব’ পালন করে এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিতে তিনি নারাজ।

আাপতত তিনি স্লোভেনিয়ায়, স্ত্রী ক্যারির সঙ্গে বিলম্বিত মধুচন্দ্রিমা যাপনে ব্যস্ত! সূত্র: আনন্দবাজার

কিউএনবি/অনিমা/১১ অগাস্ট ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:১৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

July 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit