রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১৭ অপরাহ্ন

চালের বাজারে অস্থিরতা, বিপাকে ভোক্তারা

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২
  • ১৪৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : থামছেই না চালের বাজারে অস্থিরতা। নানা উদ্যোগেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না দাম। ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা। 

খাদ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান, আমদানির অনুমতি, শুল্ক হ্রাসসহ নানান উদ্যোগ নিয়েও দাম সাধারণ ক্রেতার নাগালের মধ্যে আনা সম্ভব হচ্ছে না।

গত তিন-চার দিনের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় সব ধরণের চালের দাম দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। 

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মগবাজার, তেজকুনিপাড়াসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মিনিকেট চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭২ টাকা। তিন-চার দিন আগে এর দাম ছিল ৬৬ থেকে ৭০ টাকা। কেজিতে দুই থেকে চার টাকা বেড়ে নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৪ থেকে ৮৪ টাকায়। এ ছাড়া বিআর-২৮ জাতীয় চালের কেজিতে দুই টাকা বেড়ে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মোটা চালের ক্ষেত্রে দাম অপরিবর্তিত দেখা গেছে। এ মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে।

চালের দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, পাইকারি পর্যায়ে এখনও দাম কমেনি। আমদানি করা চালও বাজারে আসেনি। এ কারণে দাম কমছে না।

এ বছর ভরা মৌসুমেও চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। দাম স্থিতিশীল রাখতে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর চালের বাজারে মাসব্যাপী যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে। সেই সঙ্গে চাল আমদানির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। ৬২ শতাংশ থেকে আমদানি শুল্ক কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ৩০ জুন থেকে এ পর্যন্ত কয়েক দফায় ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টনের বেশি চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

যদিও খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ীদের আমদানিতে আগ্রহ কম। এ পর্যন্ত মাত্র পাঁচ হাজার টনের মতো চাল আমদানি হয়েছে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা চালের দাম বেশি বলে দেশের বাজারে দাম কমছে না। বরং বাজারে দাম বাড়ছে। যদিও খাদ্য মন্ত্রণালয় আশা করেছিল, চাল আমদানি শুরু হলেই দেশের প্রধান এই খাদ্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করবে।

আমদানিকারকরা বলছেন, ডলারের উচ্চমূল্য এবং ভারতে চালের দাম বাড়তি থাকার কারণে চাল আমদানিতে খরচ বেড়ে গেছে। আমদানীকৃত চালের সব খরচ হিসাব করে দেখা গেছে, দেশীয় বাজারের চালের তুলনায় এক থেকে তিন টাকা পর্যন্ত বেশি খরচ পড়ে গেছে। এ কারণে অনেক আমদানিকারকই চাল আমদানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সরকারি চালের মজুত রয়েছে এক লাখ ৫৭ হাজার টন।

এদিকে চালের বাজারে অস্থিরতার মধ্যেই উর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের দাম। আগের মতো বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে তেল, চিনি, ডাল, আটা, ময়দাসহ বেশিরভাগ খাদ্যপণ্য। বেড়েছে ডিম-ব্রয়লার মুরগীর দামও। বাজার করতে এসে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ তাদের মধ্যে।

কিউএনবি/অনিমা/২৯ জুলাই ২০২২, খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১:৫০

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit