মোঃ সালাহউদ্দিন আহমেদ : আজ (৩১ মে) মঙ্গলবার মাধবদী পৌরসভা হলরুমে পৌর এলাকার হোটেল রেস্টুরেন্টের মালিক, তেহারি বিরিয়ানি বিক্রেতা, মুরগ মুরগীর মাংস বিক্রেতা, কসাই এবং গরুর মাংস বিক্রেতাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাধবদী পৌরসভার মেয়র ও মাধবদী শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার কাউন্সিলর বৃন্দ সহ পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ।
মাধবদী পৌর মেয়র বলেন আজ থেকে বন্ধ করে দেয়া হলো ঘোড়ার মাংস দিয়ে বিরানি বিক্রি করা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সকল দোকান। মাধবদী পৌরসভার সকল মোরগ ব্যবসায়ী,গরুর গোশত ব্যবসায়ী কসাই ও হোটেল মালিকদের কঠিন হুশিয়ারী দিয়ে মাধবদী পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন মানিক বলেন, মোরগ ব্যবসায়ীরা মৃত মোরগ নির্দিষ্ট একটা স্থানে বড় পাত্রে রাখবে ঐ পাত্রে সকল মৃত মোরগ জমা করবে এবং পৌরসভার ক্লিনাররা গিয়ে এগুলো যথাস্থানে মাটির নিচে পুতে রাখবে।
সেই সাথে কোন মোরগ কত দাম তার একটা চার্ট করে দোকানের সামনে টাঙ্গিয়ে রাখবে এবং সঠিক ওজনে মোরগ বিক্রি করতে হবে অন্যথায় তাদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। গরুর গোশত ব্যবসায়ী বা কসাইরা প্রতিদিনের গরু প্রতিদিন জবাই করে বিক্রি করতে হবে, মাধবদীর বাহির হতে কোনো গরুর গোশত বা প্যাকেট ক্রয় করে বিক্রি করা যাবে না সেই সাথে গরু, মহিষ ও খাসির গোশতের নির্দিষ্ট দাম নির্ধারণ করে তার একটি চার্ট তৈরি করে দোকানের সামনে টাঙ্গিয়ে রাখবে এবং ক্রেতাদের নিকট সঠিক ওজনে গোশত বিক্রি করতে হবে অন্যথায় দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সকল হোটেল ব্যবসায়ীগণ প্রতিদিনের মোরগ, গরু, মহিষ ও খাসির গোশত কিনে যেদিনের গোশত সেদিনই বিক্রি করতে হবে, কোন মোরগ ব্যবসায়ী বা কসাই হতে কতটুকু গোশত ক্রয় করা হয়েছে প্রত্যেকদিনের রশিদ পৌরসভায় জমা দিতে হবে এবং কোনো ফ্রিজিং করা কাঁচা ও রান্না গোশত ফ্রিজে পেলে তার হোটেল বন্ধ করে দেওয়া হবে। একজন হোটেল ব্যবসায়ী অনুমতি চেয়েছিল ফ্রিজে গোশত রেখে বিক্রি করার জন্য মেয়র নিষেধ করে দিয়ে বলেছেন আমি মাধবদীতে মেয়র থাকাকালীন কেউ আমার পৌরবাসীকে ফ্রিজিং করা কোনো খাবার খাওয়াতে পারবে না কেউ এই নির্দেশনার বাহিরে গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাধবদী বাসস্ট্যান্ড যেতে ডান দিকের যত বিরিয়ানির দোকান রয়েছে সেই সকল দোকানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কিউএনবি/আয়শা/৩১.০৫.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৫:০৪