আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে রুশ হামলার পরপরই পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ান মুদ্রা রুবলের মান বেশ দ্রুত নিচের দিকে পড়তে থাকে। সেসময় রুবল দ্রুত মূল্যহীন হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা দেখা দেয়। তবে, সব আশঙ্কা কাটিয়ে এপ্রিল থেকে উল্টো শক্তিশালী হতে থাকে রুশ মুদ্রা। রুবলের ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে নানা কারণ তুলে ধরছেন বিশ্লেষকরা। তবে, সবার আগে রাখছেন রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস কিনতে রুবলে মূল্য পরিশোধে প্রেসিডেন্ট পুতিনের পদক্ষেপকে।
রাশিয়ার গ্যাস ও তেলের ওপর অনেকটায় নির্ভরশীল ইউরোপ। এরইমধ্যে জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ রুবলের মাধ্যমে গ্যাস ও তেলের মূল্য পরিশোধে রাজি হওয়ায় রুশ মুদ্রা অনেক শক্তিশালী হয়েছে বলে মত তাদের। এ ছাড়া চীন এবং ভারতের কাছে অতিরিক্ত জ্বালানি বিক্রির মাধ্যমে রাশিয়ায় বৈদেশিক মুদ্রাও আসছে। বর্তমানে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়ার মুদ্রা রুবল বেশ শক্তিশালী হয়েছে। ব্লুমবার্গের তথ্য বলছে, ইউরোর বিপরীতে রুবলের দাম গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। বর্তমানে এক ইউরোর বিপরীতে মিলছে ৬৫ দশমিক ৪৫ রুবল।
অন্যদিকে তেল ও গ্যাস বিক্রির মূল্য রুবলে রূপান্তর করে নেয়ায় রাশিয়ার মুদ্রার চাহিদাও বেড়েছে। ফলে মার্কিন ডলারের বিপরীতে রুবল শক্তি ফিরে পেয়েছে। বর্তমানে ১ ডলারের বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৫৮.০৬ রুবল। দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখতে এবং রুবলের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে দেশের ভেতরেও নানা পদক্ষেপ নেয় পুতিন সরকার। যুদ্ধ শুরুর পরপরই ধস ঠেকাতে বন্ধ রাখা হয় শেয়ার মার্কেট। সুদের হার দ্বিগুন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রুবল সঞ্চয়কারীদের জন্য প্রণোদনাও ঘোষণা করা হয়। এমনকি রুশ কোনো নাগরিক যাতে দেশের বাইরে অর্থ নিতে না পারেন, সে জন্যও ব্যবস্থা নেয় পুতিন সরকার। এমন নানা পদক্ষেপের কারণেই শক্তিশালী হয়েছে রুবল।
কিউটিভি/আয়শা/২৩.০৫.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:১৫