শান্তা ইসলাম নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াউত্রা বেলদারিয়া হাল দাগ ২১২৫ খাল পূণঃখনন নামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন ব্যক্তিমালিকানা সম্পত্তিসহ হাল ৩০২১ দাগের খাল খনন কাজ চলছে। খালটি খনন করা হলে এলাকার উপকারের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বেশী বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। গোড়াউত্রা গ্রামে খাল খনন কাজ বাতিলের ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে ওই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা এলাজ উদ্দিন, গ্রামবাসী আলী আসাব, এ.এইচ.এম নাজিম উদ্দিন তালুকদার, আবুল কাশেমসহ ১৬জন মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত দাবি জানান। এ নিয়ে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনায় পৃথক দুইটি মামলাও হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার মোহনগঞ্জের গোড়াউত্রা গ্রামের পূর্বপাড়ার ডেনডু মিয়ার বাড়ির দক্ষিন সীমানা হতে একই গ্রামের উত্তরপাড়ার বুদু মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ৫ কিলো মিটার খাল খনন কাজ সম্প্রতি শুরু করে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড। ওই খালটি খনন করা হলে গ্রামের মানুষের কোন উপকারে আসবে না। উপরন্তু গ্রামের মানুষের বাড়িঘর, মসজিদ, সড়ক ভেঙে বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি মানুষ, গরু- বাছুর চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। বর্ষাকালে ডিঙ্গাপোতা হাওরের ঢেউয়ের আঘাতে গ্রামটি বিলীন হয়ে যাবে। এলাকাবাসীর পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা এলাজ উদ্দিনসহ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ১৬জন খাল খনন প্রকল্পের কাজ বাতিলের জন্য গত ৮ ফেব্রুয়ারী মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিতভাবে দাবি জানিয়েছেন। খনন কাজ বন্ধ না হওয়ায় এলাকাবাসীর পক্ষে আবদুস ছাত্তার, ছন্দু মিয়াসহ চারজন ও একই গ্রামের আছাব উদ্দিন, জসিম উদ্দিন তালুকদারসহ পাঁচজন বাদী হয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা মোহনগঞ্জসহ আটজনকে বিবাদী করে গত ৬ মার্চ বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনায় পৃথক মামলা দায়ের করেন।
মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাব্বির হোসেন আকুঞ্জি বলেন, এ ব্যাপারে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। বিষয়টি দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে। নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, খালটি খনন হলে এলাকাবাসী সুবিধে হবে। স্থানীয় কিছুলোক প্রকল্পের কাজের বিরোধীতা করছেন।
কিউএনবি/আয়শা/২৩.০৫.২০২২ খ্রিস্টাব্দ/সন্ধ্যা ৬:০৫