শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন

বগুড়ার শেরপুরে ধানের ব্যাপক ক্ষতি কৃষকের মাথায় হাত

আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি ।
  • Update Time : বুধবার, ১১ মে, ২০২২
  • ১৭৩ Time View

আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৈশাখ মাসের শুরু থেকেই কয়েকদিনের বাতাস ও বৃষ্টিতে পাকা ধানগাছ হেলে পড়ে যায়। জমিতে পানি জমিছে। সেই সাথে পাাঁকা ধান কাটতে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। শ্রমিক পাওয়া গেলেও চড়া মুল্যে জমির ধান কাটতে হচ্ছে কৃষকদের। শেরপুর উপজেলার মাঠে মাঠে কাঁচা, আধাপাকা ও পাকাধান নিয়ে উৎকন্ঠায় আতঙ্কে দিন পার করছে কৃষকেরা। অনেক এলাকায় বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে মাটিতে হেলে পড়েছে ধানগাছ। দেখা গেছে কেউ ধান কাটছেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা কাঁদছে। দেখা যায়, সুঘাট, মির্জাপুর, খানপুর, গাড়ীদহ, কুসুম্বী, খামারকান্দি, বিশালপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বৃষ্টির পানিতে ফসল তলিয়ে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের স্বপ্ন যেন অনেকাংশেই গুড়েবালির কারণ হয়েছে কালবৈশাখের ঝড়-বৃষ্টি। ধান পরিপুষ্ট হয়ে পাকার আগেই মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই ধান কাটতে হচ্ছে কৃষকদের। সময়ের আগে ধান কাটার ফলে স্বাভাবিকভাবে ফলন কম হবে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাঠে ধান কাটা শ্রমিকেরও সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে বেশি দামে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে হচ্ছে কৃষকদের।উপজেলার বাংড়া গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম ও খামারকান্দি গ্রামের শাহাদত হোসেন জানান, এ এলাকার বেশির ভাগ জমিতে আগাম জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে। ধান কাটতে এখনো ১০-১৫ দিন বাঁকি। বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ধানগাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে বহু জায়গায়। এতে ফলন বিপর্যয়সহ প্রতি বিঘায় প্রায় চার-পাঁচ মণ ধান কম হবে বলে তাদের ধারণা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৭০০হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। অর্জিত হয়েছে ২০হাজার ৩শ’৮৫ হেক্টর। তবে বোরো মৌসুমের শেষ প্রান্তিকের টানা বর্ষণে জমির পাকা, আধাপাকা ধান গাছ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ঝড়ো বাতাসে বিভিন্ন এলাকায় ধান গাছ মাটির সাথে মিশে গেছে। ধান মাটিতে শুয়ে পড়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে। অনেকে আবার তড়িঘড়ি করে জমির কাঁচা-পাকা ধান কাটতে শুরু করেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় প্রায় ২হাজার হেক্টর ধানী জমি ক্ষতির মুখে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, ঝড়ো বাতাসের কারণে কিছু পরিমান জমিতে বোরো ধান হেলে পড়েছে। তবে এত আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। আগাম সতর্কতা হিসেবে যেসব জমির ফসল শতকরা ৮০ ভাগ পেকে গেছে, সেগুলো কেটে নেয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এখন বোরো ধান পাকা ও শক্ত অবস্থায় আছে। সে কারণে গড়পড়তায় স্বাভাবিক ঝড় বৃষ্টিতে ফলনে তেমন হেরফের হবেনা।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১১ই মে, ২০২২/২৮ বৈশাখ, ১৪২৯/বিকাল ৪:৫৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit