স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর) : যশোরের মনিরামপুরে মৎস্যঘের লিজ নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্বা আবুল কাশেম আহত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যার পর উপজেলার নেঙ্গুড়াহাট বাজারে। এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বাদী হয়ে চালুয়াহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবদুল হাই ও তার তিনভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই রাতেই পুলিশ দুইজনকে আটক করে।
জানাযায়, উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবদুল হাই ও তার বড়ভাই আবদুল হালিম এবং প্রতিবেশী আবু সাইদ ও বুলবুল হোসেন গৌরিপুরে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ৯৫ বিঘা জমি পাঁচ বছরের লিজ নিয়ে ঘের নির্মান করে মৎস্য চাষ করে আসছেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমসহ এলাকার বেশ কয়েকজন আবদুল হাই ও তার ভাইকে বাদ দিয়ে নতুন করে ৫৫ বিঘা জমি লিজ দেন বুলবুল হোসেনের কাছে। ফলে এ নিয়ে আবদুল হাই শুক্রবার সন্ধ্যায় নেঙ্গুড়াহাট বাজারে শালিস সভার আয়োজন করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত হন মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ও তার বড়ভাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আমির হোসেনসহ তার লোকজন। অভিযোগ রয়েছে নতুন করে অন্যদের কাছে জমি লিজ দেওয়া নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম আহত হয়।
তবে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম অভিযোগ করেন ৫৫ বিঘা জমি লিজ দেওয়া বাবদ পাঁচ লাখ টাকা আনতে গিয়েছিলেন ওই শালিস সভায় বুলবুল হোসেনের কাছে। এ সময় আবদুল হাই ও তার তিনভাই সহ অন্যরা হামলা চালিয়ে তাকে মারপিট করে। অবশ্য এ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহাবয়ক আবদুল হাই জানান, শালিস সভায় আবুল কাশেমকে ডাকা না হলেও তিনি পরিকল্পীতভাবে লোকজন নিয়ে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। অবশ্য এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে মনিরামপুর থানায় আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল হাই ও তার তিনভাই আবদুর রাজ্জাক, আবদুল হালিম, আবদুল হকসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ মামলা করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নূর ই আলম সিদ্দিকী জানান, ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে শাহিনুর রহমান ও আনোয়ার হোসেন নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে চালান দেওয়া হয়।
কিউএনবি/আয়শা/৭ই মে, ২০২২/২৪ বৈশাখ, ১৪২৯//রাত ৯:২৯