শান্তা ইসলাম নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ কারিগরি বানিজ্যিক কলেজে দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর চাকুরি করেও এমপিও হয়নি নূর জাহান বেগমের। এতে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে তিনি হাসপাতাপলে চিকিৎসাধীন আছেন। জানা গেছে, জেলার মোহনগঞ্জে গত ২০০৪ সালে মোহনগঞ্জ কারিগরি বান্যিজিক কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই কলেজে উপজেলার বার্তারগাতি গ্রামের নূরুল হুদার স্ত্রী নূর জাহান বেগম ২০০৬ সালে কম্পিউটার ডেমোনেস্টেটর পদে কাজে যোগদান করেন। ২০১০ সালে কলেজটি এমপিওভূক্ত হয়। কলেজে ১৫জন শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে ৯জনের এমপিও হয়ে যায়। চলতি বছর আরও তিনজনের হওয়ার কথা রয়েছে।
কিন্তু অজ্ঞাত কারনে নূরজাহান বেগমের চাকুরি এমপিওভূক্ত হয়নি। এরই মধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ উন্নয়নের কথা বলে নূর জাহান বেগমের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে নূর জাহানের চাকুরি এমপিওভূক্ত হবে না বলে জানায়। গত মঙ্গলবার কলেজের অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন। এতে মানষিকভাবে ভেঙে পড়ের নূর জাহান বেগম। তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের সয্যায় শুয়ে শুয়ে প্রায়শই দিনি মূর্চা যাচ্ছেন এবং প্রলাপ বকছেন। বলছেন ‘ওরা আমার সব কিছু শেষ করে দিছে। আমি এখন কি করব, বয়স শেষ। আমি এর বিচার চাই।’
নূর জাহানের স্বামী নূরুল হুদা বলেন, আমি মোহনগঞ্জ কারিগরি বানিজ্যিক কলেজের একজন দাতা সদস্য। আমার স্ত্রীর সাথে চাকুরিরত অন্যদের এমপিও হয়ে গেছে। তাকেও এমপিওভূক্ত করা হবে বলে বিভিন্ন সময় আর্থিক অনুদান নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার এমপিও না হওয়াতে সে মানষিকভাবে ভেঙে পড়ছে। বিষয়টি খুবই অমানবিক। মোহনগঞ্জ কারিগরি বানিজ্যিক কলেজের অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন বলেন, এতে আমার বা কলেজের কোন গাফিলতি নেই। সরকারি পরিপত্রে তার চাকুরি এমপিওভূক্তি হওয়ার কোন বিধান নেই। যার জন্য তার এমপিও হয়নি। বিষয়টি তাকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি জানান, ১৭ বছর চাকুরি করার পর এমপিও হয়নি এ ব্যাপারে তাকে কেউ জানায়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
কিউএনবি/আয়শা/৭ই মে, ২০২২/২৪ বৈশাখ, ১৪২৯//রাত ৮:২৯