
ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধনের বিষয়ে একটা সুরাহা হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জামায়াতের বিষয়টা ফেলে রাখা ঠিক হবে না। দ্রুত একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আইনটা একটু কঠিন হয়ে গিয়েছে।
বিশটা জেলায় না করে এটাকে ১০টা জেলায় আনা যায় কিনা দেখতে হবে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাকি আছে। গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন হয়নি, হাইকোর্টেরও রায় হয়েছে। আমাদের আবেদন থাকবে আপনারা দ্রুত ছেড়ে দেন। রাজনীতিতে আমাদের সৎ লোককে আনতে হবে। অনেক বেশি অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে।নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার মতে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পথে কোন বাধা থাকা উচিত নয়। উনি নির্বাচন করতে পারবেন। কেননা উনার মামলার ফয়সালা এখনো হয়নি। আমি সব সময় বলেছি জামিন পাওয়া উনার অধিকার। ৬ মাসের এই খেলা দেখানো ঠিক নয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার একটি কথা বলেছিলেন, আমিও ইভিএম বুঝি না। পত্রিকায় যা প্রকাশিত হয়েছে। একটা কাগজ তৈরি করা দরকার, কীভাবে ইভিএম এলো? বিনা টেন্ডারে এত ইভিএম কেনা হয়েছিল, একটা সামরিক বাহিনীর সামরিক সচিবের অতি উৎসাহের কারণটা কী? এ সম্পর্কে একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করা প্রয়োজন। ইভিএম যদি ব্যবহার করতেও হয়, ৫-১০টা সেন্টারে হতে পারে। খুব সিরিয়াসলি আমরা দেখতে পারি, তবে এটা না হওয়াটাই ভালো। এসময় নির্বাচনে ভোটার লিস্ট সময় নিয়ে প্রকাশ এবং সব প্রার্থীদের নিয়ে অন্তত ৫টি জেলায় মিটিং করার প্রস্তাব দেন তিনি। দেশে খাদ্যদ্রব্যের যে অবস্থা যাচ্ছে, সুষ্ঠু গণতন্ত্রই এর মূল চিকিৎসা।
কিউএনবি/আয়শা/২২শে মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:৪৫