
ডেস্ক নিউজ : সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)। গত বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে নগদ ৮৪ হাজার ৪০০ টাকাসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন—শামীম হোসেন, ওমর ফারুক, রেবেকা সুলতানা, কাজী হাবিব, শহিদুল ইসলাম, মো. ইমরান, আল আমিন, শরীফুল ইসলাম, মাহাবুবুর রহমান ওরফে সরোয়ার, সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, আব্দুল মতিন, রফিকুল ইসলাম খোকা ও রুবেল শেখ।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত জানান, চক্রটি রাজধানীর পল্লবীতে অফিস খুলে দেশের বিভিন্ন এলাকার চাকরিপ্রত্যাশীদের টাকার বিনিময়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। চক্রটির সদস্য প্রায় ৪০-৫০ জন। তাঁদের বড় একটি অংশ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে। চক্রের প্রাথমিক স্তরের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে চাকরির আশ্বাস দিয়ে তরুণদের প্রলুব্ধ করতেন। গ্রামের সহজ-সরল চাকরিপ্রত্যাশী তরুণরা প্রতারকচক্রের প্রলোভনে জমিজমা বিক্রি ও ধার করে টাকা জোগাড় করে ঢাকায় আসতেন।
ঢাকায় আসার পর চক্রের দ্বিতীয় স্তরের সদস্যরা বিশ্বাস অর্জনের জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের নিয়োগপত্রসহ আনুষঙ্গিক নথিপত্র সরবরাহ করতেন। অনেক ক্ষেত্রে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিশ্বাস অর্জন করতে বিভিন্ন এলাকার কমিউনিটি সেন্টারে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করিয়ে তাঁদের বলতেন প্রশিক্ষণ চলছে। তৃতীয় স্তরের সদস্যরা বিভিন্ন কার্যক্রমে নিজেদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন। ভুক্তভোগীদের বিশ্বাস অর্জনসহ সবার সঙ্গে সমন্বয় এবং কমিশন বণ্টনের দায়িত্ব পালন করতেন তাঁরা।
কিউএনবি/আয়শা/১৮ই মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ১২:৪৩