সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
চসিক মেয়রের বক্তব্যের জবাবে উপদেষ্টা সাখাওয়াত বললেন ‘আমি দেশের লোক’ লক্ষ্মীপুরের ছেলে আমি নোয়াখালীতে সুযোগ পেয়ে খুবই খুশি: হাসান মাহমুদ একদিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দামে ফের রেকর্ড, ভরিতে বাড়ল কত? খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলি কুষ্টিয়া সীমান্তে বিজিবি’র বিশেষ চেকপোস্ট দেশের রিজার্ভ বেড়ে ৩২.৭২ বিলিয়ন ডলার বর্ণবাদের শিকার হচ্ছেন উসমান খাজার মেয়েরা, প্রতিবাদ করলেন স্ত্রী বিটরুট কাঁচা না রান্না কোনটি বেশি উপকারী? রাস্তায় না, নারী সঙ্গীর বাসায় গুলিবিদ্ধ হন এনসিপি নেতা; চাঞ্চল্যকর তথ্য ২০২৫ সালে নজর কাড়লেন যেসব অভিনেত্রী ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্রের শরণাপন্ন ইসরাইল

কিয়েভ দখলে রাশিয়ার চূড়ান্ত অভিযান কি আসন্ন?

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২
  • ৭৩ Time View

 

ডেস্কনিউজঃ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধের ১৭তম দিনে বিশাল রুশ সেনাদল এবং সাঁজোয়া বহর এখন ক্রমশ রাজধানী কিয়েভের দিকেই যাচ্ছে। বেশিরভাগ রুশ সেনা এখন রাজধানী কিয়েভের কেন্দ্র থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে বলে জানাচ্ছে ব্রিটেনের গোয়েন্দা সূত্রগুলো। কিয়েভের পতন কি তাহলে আসন্ন?

এর মধ্যে ছোট ছোট কিছু অগ্রবর্তী দল আরো কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা ইউক্রেনের বাহিনীর দিক থেকে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে।

স্যাটেলাইটে তোলা ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, রুশ রকেট লঞ্চারগুলো এখন কিয়েভের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুর দিকে তাক করা। ভারী গোলাবর্ষণের শব্দও শোনা যাচ্ছে।

ইউক্রেনের একজন এমপি বিবিসিকে বলেছেন, রুশ আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য কিয়েভের মানুষ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং রুশরা শহরে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।

কিয়েভের দক্ষিণে ইউক্রেনের একটি সামরিক বিমান ক্ষেত্রের ওপর রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ভাসিলকিভ শহরের মেয়র জানিয়েছেন, এই হামলায় রানওয়ে এবং তেলের ডিপো ধ্বংস হয়ে গেছে, একইসাথে পাশে অস্ত্র ও গোলাবারুদের গুদামেও বিস্ফোরণ ঘটেছে।

ইউক্রেনের আরেকটি উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভ এখনো অবরুদ্ধ, সেখানে তীব্র গোলাবর্ষণ হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। শহরে কোনো পানির সরবরাহ নেই, একটি অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে।

দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাইকোলেভ, রুশ অধিকৃত খেরসান ও ইউক্রেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ওডেসার মাঝামাঝি, সেখানেও তীব্র গোলাবর্ষণ চলছে।

ইউক্রেনের সরকার বলছে, শনিবার কয়েকটি মানবিক ত্রাণ করিডোর খোলা যাবে বলে তারা আশা করছে, যাতে বিভিন্ন শহরের রুশ বোমা হামলার মুখে থাকা লোকজন পালাতে পারে। ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক জানিয়েছেন, এসব শহর থেকে মানুষকে উদ্ধারের বিষয়টি নির্ভর করবে রাশিয়া যুদ্ধবিরতি মেনে চলে কিনা তার ওপর।

কিয়েভে হামলা আসন্ন

বিবিসির সংবাদদাতা জেমস ওয়াটারহাউজ বলছেন, রাজধানী কিয়েভের উত্তরে এখন ক্রমাগত বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। বেশিরভাগ রুশ সেনা সেদিকেই জড়ো হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, বেশিরভাগ রুশ সেনা এখন কিয়েভের উপকণ্ঠ পর্যন্ত চলে এসেছে।

ইউক্রেনের সামরিক অধিনায়কদের আশঙ্কা, রুশ সেনারা কিয়েভের ওপর অনেক ব্যাপক ও পূর্ণাঙ্গ হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই সঙ্গে তারা শহরটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করবে, যেটি তারা অন্যান্য শহরের ক্ষেত্রেও করেছে।

তবে সেরকম সক্ষমতা রাশিয়ার বাহিনীর আছে কিনা, সেটা স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনের অন্যান্য শহরের মতো এখানেও রুশ বাহিনী তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ছে।

পুতিন অধৈর্য হয়ে উঠছেন

বিবিসির নিরাপত্তা সংবাদদাতা ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন যে ক্রমশ অধৈর্য হয়ে উঠছেন, সেটা স্পষ্ট। রাশিয়া যে এই সংঘাতের নতুন একটা পর্যায়ে প্রবেশ করছে, সেটাও স্পষ্ট। কারণ কিয়েভকে ঘিরে তারা বিপুল সমরাস্ত্র জড়ো করেছে – আর্টিলারি, রকেট লঞ্চার, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র – সব ধরনের সমরাস্ত্র।

ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, রাশিয়া কিভাবে লড়াই করবে, তার ইঙ্গিত পেতে তাকাতে হবে অতীতে চেচনিয়ার গ্রোজনি বা সিরিয়ার আলেপ্পোতে তারা কোন ধরনের কৌশল নিয়েছিল, সেদিকে। এই দুটি শহর দখলের জন্য রুশ সেনাদের প্রতিটি রাস্তায় লড়াই করতে হয়েছে, কিন্তু এর ফলে দুটি শহরই কার্যত মাটিতে মিশে গিয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট পুতিন কি কিয়েভেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করবেন?

ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, এটা বলা কঠিন। কারণ কিয়েভ শুধু ইউক্রেনের রাজধানী নয়, এই শহর প্রাচীন রুশ সাম্রাজ্যের ইতিহাসের অংশ, যখন মস্কো বলে কোনো শহরের অস্তিত্বই ছিল না, তখন এই কিয়েভই ছিল রুশ সাম্রাজ্যের রাজধানী। প্রেসিডেন্ট পুতিন যদি কিয়েভ ধ্বংস করে ফেলেন, সেটা রাশিয়ার মানুষ ভালোভাবে নেবে না।

তবে ফ্রাংক গার্ডনারের বিশ্বাস, ইউক্রেন দখলের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিন কোনো কিছুই বাদ রাখবেন না। ইউক্রেন ন্যাটো বা ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিচ্ছে, এটা দেখার চাইতে তিনি বরং তার প্রতিবেশী দেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়াও মেনে নেবেন।

রুশ অভিযান নিয়ে সংশয়

তবে ন্যাটোর সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল রোজ গোটেমোয়েলার বলেছেন, কিয়েভে রাশিয়ার সৈন্যরা সেরকম বড় কোনো সাফল্য পাবে কিনা, সেটা নিয়ে তার সংশয় আছে।

‘রুশ সেনাদের এই পর্যায়ে নতুন করে সংগঠিত হওয়ার সক্ষমতা আছে কিনা, সেটা আমি ভাবছি। কারণ তাদের রসদ-পত্রের খুব খারাপ অবস্থা, কিয়েভ পর্যন্ত অগ্রসর হওয়ার মতো জ্বালানি পর্যন্ত তাদের নেই’, বলছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, রাশিয়া যে এখন সিরিয়া থেকে ভাড়াটে যোদ্ধা আনার চেষ্টা করছে, সেটাও প্রমাণ করে, রাশিয়া এই অভিযানে কত বর্বর একটা কৌশল নিয়েছে।

রাশিয়া বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে ১৬ হাজার যোদ্ধা আছে, যারা রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা এদের মধ্যে অনেক সিরিয়ান আছে, যারা শহরের গেরিলা লড়াইয়ে বেশ দক্ষ।

রোজ গোটেমোয়েলার বলছেন, ‘এগুলো আসলে চরমপন্থি গোষ্ঠী, সিরিয়ায় লড়াই করছিল এরকম লোকজন। যুদ্ধে লিপ্ত সবচেয়ে সহিংস কিছু চরমপন্থি দল।’

সূত্র : বিবিসি

কিউএনবি/বিপুল/১২ই মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ | রাত ৮:৪৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit