শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৩ অপরাহ্ন

বরগুনায় প্রতি কেজি ইলিশ ৩৫০ টাকা!

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৯ মার্চ, ২০২২
  • ১১৮ Time View

 

ডেস্ক নিউজ : বরগুনা পৌরসভার মাছ বাজারে ডালা সাজিয়ে প্রতি কেজি ইলিশ ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জেলার সব মাছ বাজারে চাহিদা অনুযায়ী থাকা সত্ত্বে ক্রেতা সংকটে দাম কমেছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার সকালে বরগুনা সদরের মাছ বাজারসহ জেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ক্রেতা কম থাকার কারণে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। এতে প্রত্যেক কেজিতে (৫-৬টি) হবে, ৪৫০ টাকায় (৩টি) করে, বড় ইলিশ এক কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ১২০০ টাকায় ও এক কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা কেজি দরে, যা অন্য সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ২০০ টাকা কম। ছোট ইলিশগুলো বেশি দামে ক্রয় করে খুচরা বাজারে কম দামে বিক্রি করায় মাছের গুণগত মান নিয়ে শঙ্কায় আছেন ক্রেতারা। বরগুনা পৌরসভার মাছ বাজারের খুচরা ইলিশ বিক্রেতারা জানান, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশ থাকার কারণে দাম কিছুটা কম। গত সপ্তাহের তুলনায় ছোট ইলিশের দাম কম। তবে বড় ইলিশের দাম একই রয়েছে বলে জানান।

বিক্রেতা বলেন, আমি বরগুনা স্থানীয় পাইকারি বাজারের ১৭০-১৮০ গ্রাম ওজনের ছোট ২০ কেজি ইলিশ পাইকারি গড়ে ৩৫০ টাকা দরে ক্রয় করে বাজারের ৩৫০ টাকায় খুচরা বিক্রি করছি। ক্রেতা কম থাকার কারণে অন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে। বরগুনা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সেলিম আহমেদ বলেন, বাজারে মাছের গুণগতমান পরীক্ষা করার জন্য আমরা বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করেছি। বিষয়টি আমরা শুনেছি তদন্ত করে দেখব মাছের গুণগতমান কেমন। প্রয়োজন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব তাদের বিরুদ্ধে।

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ছয় উপজেলার ৩৭ হাজার ৯০৩ জেলে জাটকা নিধন নিষেধাজ্ঞার সময় ২০ কেজি চাল সহায়তা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পরিচালক বিএন বাংলাদেশ নৌবাহিনী লেফটেন্যান্ট এম লুৎফর রহমান বলেন, গত মাসের শেষের দিকে সাগরে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ে। তাই ইলিশের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর ইলিশের দাম কম। এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব যুগান্তরকে বলেন, নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরায় সরকারের বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে দিন দিন সব প্রজাতির মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞাকালীন জাটকা ধরা, সংরক্ষণ, পরিবহণ, বিপণন দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অনুযায়ী ১০ ইঞ্চি আকৃতির ইলিশ জাটকা হিসেবে গণ্য করা হয়। এ সময়ে যারা জাটকা আহরণ, বিপণন, পরিবহণ করবেন, তাদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হবে। এ কারণেই জেলেরা এমনটি থেকে বিরত থাকছেন। সরকারের আইন মেনে মাছ শিকার করলে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি জানান।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/৯ই মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/দুপুর ২:১৯

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit