
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কথায় আছে অভাগা যেদিকে চায় সাগরও শুকিয়ে যায়। আফগানিস্তানের নাগরিক আজমল রাহমানির পরিবারেও হয়েছে সেই দশা। তালেবান থেকে বাঁচতে একটু সুখ স্বর্গের আশায় আজমল বছর খানেক আগে পাড়ি দিয়েছিলেন ইউক্রেনে। তবে সুখ কপালে সইলো না। আজমলের খোঁজা শান্তির দেশেই এখন অশান্তির বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র আর সাঁজোয়া যানে উন্মদনায় সব সুখ লুটেপুটে যায়। তাই আবারও লাখো ইউক্রেনীয় সাথে স্রেফ বাঁচার তাগিদে আজমল পাড়ি দিয়েছেন পোল্যান্ডে।
সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আজমল বলেন, ‘আমি এক যুদ্ধ থেকে বাঁচতে আরেক দেশে এসেছিলাম। এবার সেখানেও যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো, সত্যিই দুর্ভাগ্য।’আজমলের সাথে আছেন স্ত্রী মিনা, সাত বছর বয়সী কন্যা মারওয়া আর ১১ বছর ছেলে ওমর। পোল্যান্ড সীমান্তে পৌঁছাতে তাদের ১ হাজার ১১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। শেষের ৩০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়েছে আজমল পরিবার।
আজমলের বয়সটা চল্লিশের কোঠায়। ন্যাটোর হয়ে কাবুল বিমানবন্দরে তিনি দেড় যুগ কাজ করেছেন। তাই নানা হুমকি ধামকির মুখে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের চার মাস আগে দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আশঙ্কা ছিলো, তালেবারা তাকে বাঁচতে দেবে না। সন্তানারও স্কুলে যেতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে আমার একটা দারুণ জীবন ছিলো, ছিলো একটা ব্যক্তিগত বাড়ি। একটাা গাড়িও ছিলো, ভালো বেত এখন আবার উদ্বাস্তু হয়ে, আজমল পরিবারের পোল্যান্ড সরকারে সিদ্ধান্তের দিকে চেয়ে থাকা।
সূত্র: আল জাজিরা
কিউএনবি/আয়শা/৩রা মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:২৪