
ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশে দারিদ্র্য দূরীকরণ কার্যক্রমকে আরো কার্যকর ও গতিশীল করার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও ব্র্যাক। ঢাকায় অবস্থিত ইউএনডিপি অফিসে আজ রবিবার ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি এবং ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
এই অংশীদারত্বের আওতায় উভয় সংস্থা যৌথভাবে কাজ করবে। এরই ধারাবাহিকতায় অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির আলোকে দারিদ্র্য বিমোচন করতে তথ্য-উপাত্তভিত্তিক নীতিমালা এবং জীবিকায়ন কর্মসূচি প্রণয়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করে একটি যৌথ প্ল্যাটফর্ম স্থাপন করা হবে। এর লক্ষ্য হবে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সরকারকে সহায়তা করা, যাতে এসডিজির মূল থিম ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়’কে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, ‘এই অংশীদারত্ব অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীসহ সব উপকারভোগীকে যথাযথভাবে বাছাই, তাদেরকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ডিজিটাল পন্থায় অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং সহায়তাসামগ্রী পৌঁছে দিতে সরকারকে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে এর আওতায় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে পিছিয়ে পড়া এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এটি জীবিকায়ন কর্মসূচি প্রণয়ন এবং পাইলট ভিত্তিতে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারকে সহায়তা করবে। ’
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য বিমোচন এবং অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই জীবিকায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গৃহীত উদ্যোগগুলোর ঘাটতি পূরণে সরকারকে সহায়তা করতে এই অংশীদারত্ব অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং প্রয়োজনীয়। ’ তিনি আরো বলেন, ‘এই অংশীদারত্ব চলমান দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী করবে। একই সঙ্গে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালীকরণ এবং অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর অভিযোজন ক্ষমতা বাড়াতে সমন্বিত উদ্যোগের রূপরেখা তৈরির মাধ্যমে তাদের কভিডজনিত ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে। ‘
কিউএনবি/আয়শা/২০শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৪:১৪