জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই কৃষকের নাম আনিছুর রহমান বাবু। তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার পশ্চিম পারুলিয়া ( করিম নগর ) গ্রামের বাসিন্দা। একই গ্রামের আব্দুল মোত্তালেবের কাছ থেকে ২০১১ সালে তিনি (আনিছুর রহমান বাবু) ২০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ওই জমিটির মৌজার নাম-পারুলিয়া, জেএল নম্বর: ১৪৬, আর.এস খতিয়ান নম্বর: ১২০৭। আব্দুল মোত্তালিব পৈত্রিক সূত্র এবং সি.এস, এম.আর ও আর. এস মূলে ভোগদখল করাকালে জমিটি আনিছুর রহমান বাবুর কাছে বিক্রি করেন। জমিটি কিনে নেওয়ার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ভোগদখল করেন আনিছুর রহমান বাবু।
জমির বিক্রেতা আব্দুল মোত্তালিব এবং মৃত মফিল উদ্দিন পরস্পরের ভাই। মৃত মফিল উদ্দিনের তিন ছেলে- এনামুল, সাইফুল ইসলাম ও সরাদ্দি নতুন প্রিন্ট পরচায় ওই জমিটি নিজেদের নামে রেকর্ড করে নেন। তখন থেকেই সাইফুল ইসলাম ও তাঁর দুই ভাই জমিটি জবর দখলের পায়তারা করছিলেন। এরই মধ্যে আনিছুর রহমান রের্কড সংশোধনের মামলা করে তাঁর পক্ষে রায় পান। আর সাইফুল গংয়েরা রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোটে আপিল করেন। এ অবস্থায় আনিছুর রহমান ওই জমিতে লাগানো আখের কিছুটা কেটে জয়পুরহাট চিনিকলে বিক্রি দিয়েছেন। এখনও ওই জমির প্রায় সাড়ে পাঁচ শতক অংশে আখ রয়েছে। এরই মধ্যে আদালত জমিটিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। ফলে কৃষক আনিছুর রহমান জমিতে যেতে পারছেন না।
এ বিষয়ে ওই (পশ্চিম পারুলিয়া-করিম নগর) গ্রামের আনোয়ার হোসেন, আমজাদ,দেলোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, লাইজু বেগম, এলিনা, নাছিমা আক্তারসহ অনেকের অভিযোগ, তাঁদের গ্রামের মৃত মফিল উদ্দিনের ছেলে- এনামুল, সাইফুল ইসলাম ও সরাদ্দি খারাপ প্রকৃতির লোক। এঁরা গ্রামের বিভিন্ন লোকের জমি অপকৌশলে নিজেদের নামে রেকর্ড করে নেন। পরে প্রিন্ট পরচার বলে জমির মালিকদের সাথে হাঙ্গামায় জড়িয়ে পড়েন। এবং তাঁদেরকে অপদস্ত করেন। আনিছুর রহমান বাবু এমনই একজন ভুক্তভোগী।
কৃষক আনিছুর রহমান বলেন,’ নিষেধাজ্ঞার কারণে জমিতে যেতে পারছি না। ফলে জমিতে আঁখ নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান করে আঁখ কাটার ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’ সাইফুল ইসাম গংদের পক্ষে এনামুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘আখের জমিটি আমাদের শরিকানা জমির একটা অংশ। আমাদের শরিক আব্দুল মোত্তালিব জমিটি আনিছুর রহমান বাবুর কাছে বিক্রি করেছেন। কিন্তু আমাদের অংশে জমি কম দিয়ে আব্দুল মোত্তালিব বেশি জমি ভোগদখল করছেন। এবং তা থেকে বিক্রি করছেন। তাই আমরা আদালতের মাধ্যমে ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছি।’