বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২২ অপরাহ্ন

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সমালোচনা বন্ধ করতে চাইলে মার্শাল ল দিতে হবে

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৮৮ Time View

 

ডেস্ক নিউজ : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন কমিশন নিয়ে সমালোচনা থাকবেই। এটা বন্ধ করা যাবে না। সমালোচনা বন্ধ করতে হলে মার্শাল ল দিতে হবে। সেটা আর সম্ভব না। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিল না। মানুষের মাথায় লাঠি ধরে, বন্দুকের নল উঁচিয়ে জরুরি অবস্থার মধ্যে নির্বাচন হয়েছে বলেই তখন এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন প্রশংসা পেয়েছিল। গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক পরিবেশে নির্বাচন করা কঠিন হলেও আগের সেই অবস্থায় ফিরে যাওয়া সম্ভব না। ’

বিদায়ের ১৮ দিন আগে আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি- আরএফইডির সঙ্গে এক সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিব ও কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নাগরিক সংগঠন সুজন-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে কমিশনের পক্ষে নির্বাচনী সংলাপ আয়োজনে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল বলে জানান সিইসি। কিন্তু সে অভিযোগের তদন্ত করেছেন কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তদন্ত হয়নি। ওই ঘটনার সময় যারা কমিশনে ছিলেন তাঁরা তদন্ত করেননি।

নিজের নেতৃত্বাধীন কমিশনের বিরুদ্ধে দেশের বিশিষ্ট ৪২ জন নাগরিকের দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ইভিএম ক্রয়ে কোনো অনিয়ম হয়নি। সরকারের ক্রয়নীতি অনুসরণ করেই এগুলো কেনা হয়েছে। প্রশিক্ষণে ব্যয় নিয়ে যে অডিট আপত্তি এটা সব প্রতিষ্ঠানে হয়ে থাকে। অডিট আপত্তি মানেই দুর্নীতি নয়। এটা নিষ্পত্তিযোগ্য। নিষ্পত্তি হয়েছে কি না – এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনো হয়নি।

নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ‘এটা আদালতে প্রমাণ করতে হবে। ’ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নির্বাচনব্যবস্থা এখন আইসিইউতে। এ বিষয়ে নূরুল হুদার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উনি অসুস্থ মানুষ। নিজেও আইসিইউতে ছিলেন। ভারতে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য সরকারের ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। আইসিইউ শব্দটি পরিচিত বলে ব্যবহার করেছেন। মিডিয়ায় কভারেজ পাওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এ ধরনের আরো কিছু শব্দ তিনি ব্যবহার করেছেন।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিনা ভোটে বা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের ব্যাপকতা প্রসঙ্গে নূরুল হুদা বলেন, এতে কমিশনের কিছু করার নেই। এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। বিনা ভোটে কেন নির্বাচিত হলো তা দেখার এখতিয়ার কমিশনের নেই। শতভাগ বা কোথাও তারও বেশি হারে ভোট পড়ার অভিযোগ সম্পর্কে নূরুল হুদা বলেন, ফলাফল প্রকাশ হয়ে গেলে আমাদের কিছু করার থাকে না। আমরা কমিশনে বসে আগে থেকে কিছু জানতে পারি না।

ফলাফলের সরকারি গেজেট হওয়ার আগে এ ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার আছে কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কেন্দ্রের সমন্বিত ফলাফল আমাদের কাছে আসতে দেরি হয়। ফলাফল প্রকাশের আগে কমিশন নির্বাচন বাতিল করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু আমাদের কাছে অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসতে হবে।  নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে ইভিএমে বাতিল ভোট দেখানো হয়েছে। এটা কিভাবে সম্ভব- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।প্রচার রয়েছে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের অভিযোগে আপনার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে- এ প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, এ ধরনের কোনো চিঠি আমি পাইনি।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/২৭শে জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/|বিকাল ৩:১৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit