ডেস্ক নিউজ : চলমান ডিসি সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেশন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, কিছু দুঃখ রয়েছে, এক কোটির অধিক প্রবাসী বিদেশে রয়েছে। তারা অভিযোগ করেন যে দেশে ঠিক পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পায় না, তাদের দেশে আসলে হয়রানি হতে হয়, সময় মতো তারা ম্যারিজ সার্টিফিকেট, বাথ সার্টিফিকেট এগুলো হয় না। ল্যান্ড ডিসপিউট থাকে। তাদের ডেড বডি আনতে তথ্য ঠিক মতো পাই না। এই ধরনের প্রবাসীদের একাধিক অভিযোগ আছে। আমরা কোন পাসপোর্ট তৈরি করি না, এনআইডি দেই না। তথ্য সংগ্রহ করে দেশে পাঠাই। সেগুলো ফেরত যেতে এতো দেরি হয় অনেক সময় তাতে তারা অসস্তুষ্ট হয়। সেই ক্ষেত্রে আমরা আশা করবো ডিসি সাহেবরা মোর সেনসিটিভ হবেন যাতে এই ধরনের সেবা সহজে তরান্বিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা বলেছি যে, আমাদের সহকর্মীরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সংসদ সদস্যরা বলেছেন যে, স্থানীয় প্রশাসন কিংবা অন্য সরকারি অফিস অনেক সময় সেই ধরনের সম্মন দেয় না। কিংবা তারা যেহেতু নির্বাচিত হয়েছেন তাদের কিছু কমিটমেন্ট রয়েছে সেইগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করার জন্য বলেছি। এটা খুব দুঃখজনক যে, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ হয় না। আমরা বলেছি স্থানীয় প্রশাসন যেগুলো নিজেরাই করতে পারে তারা সেগুলো ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যায়। এর ফলে সবাই ঢাকা কেন্দ্রিক হচ্ছে। এই ব্যাপারে তাদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। আমি বলেছি- কোন কোন ক্ষেত্রে সামান্য দুর্ঘটনা ঘটলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির কোন সমস্যা হলে, একটি প্রতিমা ভেঙে ফেললো, আর সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ফেললো। গ্রামে গঞ্জে যা হয় এসব ছড়িয়ে যায়। এসব বিষয়ে তারা যেন শক্ত অবস্থান নেয়। বর্ডার কনফারেন্স করতে বলেছি।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের প্রশংসা করেছি যে, গত কভিডের সময় তারা যেভাবে সাহায্য করেছেন করেছেন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে খাবারার পৌঁছে দিয়েছেন উইদাউট করাপশন সেটার জন্য দেশবাসী তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আরো বলেন, অনেক রিপোর্ট টাইমলি আসে না। ফলে বিদেশিদের সঙ্গে দেন দরবার করতে পারি না। অমাদের ওপর চাপ আসে। তারা যেন তড়িৎ অ্যাকশন নেন। ব্যক্তিবিশেষের তথ্য চাই তা সহজে আসে না। অনেক সময় গভীর রাতে তথ্য আনতে যান তা নিয়ে সমস্যা হয়। এসব ব্যাপারে তারা যেন সতর্ক হন এগুলোই বলেছি।
কিউএনবি/আয়শা/২০শে জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ/বিকাল ৩:১৮