আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মস্কোর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। সম্প্রতি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ জানিয়েছেন, দেশটির প্রথম এস-৫০০ রেজিমেন্ট ইতিমধ্যেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে ময়দানে নেমেছে। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সক্ষমতা নিয়ে রাশিয়ার সামরিক বিশ্লেষক মহলে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
সামরিক-রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ব্যুরোর প্রধান আলেকজান্ডার মিখাইলভ রুশ সংবাদ সংস্থা তাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, এস-৫০০ প্রোমেথিউস ব্যবস্থার সমকক্ষ কোনো প্রযুক্তি বর্তমানে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে নেই। তিনি জানান, এই ব্যবস্থার পাল্লা ও নির্ভুলতা বিশ্বজুড়ে রাশিয়ার প্রতিপক্ষ দেশগুলোর জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
এস-৫০০ ব্যবস্থাটি মূলত রাশিয়ার বিদ্যমান এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ ব্যবস্থার পরিপূরক হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। এটি কৌশলগত আকাশ প্রতিরক্ষা এবং মহাকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে আনবে। মিখাইলভের মতে, প্রোমেথিউস শুধু বর্তমানের প্রচলিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো নয় বরং এটি ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির কথা মাথায় রেখে নকশা করা হয়েছে। এটি ন্যাটোর সেইসব হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকেও ধ্বংস করতে সক্ষম যা বর্তমানে পশ্চিমা দেশগুলোতে তৈরির পর্যায়ে রয়েছে। এর ফলে আকাশপথের লড়াইয়ে রাশিয়ার তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো জোট অনেকটা পিছিয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কারিগরি সক্ষমতার দিক থেকে প্রোমেথিউস একটি অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করছে। রুশ বিশেষজ্ঞদের দাবি অনুযায়ী, এই সিস্টেমটি প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুপক্ষের লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে এবং ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যেই সেটিকে আঘাত করে ভূপাতিত করতে সক্ষম। এটি শুধু সাধারণ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা ন্যাটোর সুপারসনিক যুদ্ধবিমানই নয় বরং নজরদারি ও যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত কক্ষপথের নিচু স্তরের কৃত্রিম উপগ্রহগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে। সব মিলিয়ে রাশিয়ার এই নতুন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বজুড়ে সামরিক ভারসাম্যে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।
সূত্র: দ্য উইক
কিউএনবি /অনিমা/ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫,/রাত ৯:৩৪