রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১২ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশসহ সাত দেশের জন্য কঠিন হচ্ছে ইউরোপ আশ্রয়

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৯০ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশ ও ভারতসহ সাতটি দেশকে ‘নিরাপদ’ তালিকায় যুক্ত করায় ইউরোপে আশ্রয় পাওয়া কঠিন হচ্ছে। ইইউর নতুন অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে উদ্বেগ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় পার্লামেন্ট মহাদেশের অভিবাসন নীতি কঠোর করার লক্ষ্যে কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। যার সমর্থনে ডানপন্থী এবং অতি-ডানপন্থী আইন প্রণেতাদের একটি জোট রয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আইনপ্রণেতারা অভিবাসন নীতি কঠোর করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এ লক্ষ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে  দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নিউজ ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে।

দুটি প্রস্তাবের মধ্যে একটিতে আছে– ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেসব দেশকে ‘নিরাপদ’ হিসেবে বিবেচনা করে, সেসব দেশের তালিকা তৈরি করা। তালিকাভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য ইইউ ব্লকে আশ্রয়ের দাবি কঠিন হয়ে যাবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আইনপ্রণেতারা অভিবাসন নীতি কঠোর করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এ লক্ষ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নিউজ ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানা গেছে। দুটি প্রস্তাবের একটিতে আছে– ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেসব দেশকে ‘নিরাপদ’ হিসেবে বিবেচনা করে, সেসব দেশের তালিকা তৈরি করা। তালিকাভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য ইইউ ব্লকে আশ্রয়ের দাবি কঠিন হয়ে যাবে।

তালিকায় বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও কসোভো, কলম্বিয়া, মিসর, মরক্কো ও তিউনিশিয়া রয়েছে। ইইউ এসব দেশকে নিরাপদ হিসেবে বিবেচনা করবে। এ কারণে কেউ আশ্রয় চেয়ে আবেদন করলে, তা বিবেচিত হওয়ার প্রক্রিয়া বেশ কঠিন হবে। 

কট্টর ডানপন্থী আইনপ্রণেতা ফ্যাব্রিস লেগেরি এমন পদক্ষেপকে জরুরি আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের সদস্য দেশগুলোর ওপর ভিত্তিহীন আশ্রয় দাবির চাপ কমানোর জন্য এগুলো প্রয়োজন। আরেকটি প্রস্তাব অনুযায়ী, আশ্রয়প্রার্থীদের ‘নিরাপদ তৃতীয় দেশ’– এর কোনো একটিতে পাঠানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে কেউ ‘নিরাপদ’ তালিকাভুক্ত দেশের বংশোদ্ভূত হয়ে থাকলে তাকে তালিকার অন্য দেশে পাঠানো হতে পারে।

বামপন্থী আইনপ্রণেতা ড্যামিয়েন কারেমে এমন পদক্ষেপকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির জন্য বড়দিনের উপহার বলে মন্তব্য করেছেন। মেলোনির পরিকল্পনা হলো, তার দেশে আশ্রয়ের আবেদনকারীদের আলবেনিয়ায় পাঠানো হবে। 

এদিকে ইইউর এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তাদের সতর্কবার্তা, তৃতীয় দেশে পাঠানো হলে আশ্রয়প্রার্থীরা গুরুতর ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন। ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, যে দেশেই অভিবাসী পাঠানো হোক না কেন, সেই দেশকে মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে হবে।

ইউরোপীয় কমিশন জোর দিয়ে বলে যে অভিবাসীদের গ্রহণকারী যেকোনো দেশ মৌলিক অধিকার বজায় রাখতে বাধ্য থাকবে। সংসদের দ্বারা সমর্থিত দ্বিতীয় পদক্ষেপ হল ইইউ কর্তৃক ‘নিরাপদ’ বিবেচিত উৎপত্তিস্থলের দেশগুলির একটি তালিকা তৈরি করা। যা তাদের নাগরিকদের জন্য ব্লকে আশ্রয় দাবি করা কঠিন করে তুলবে।

২০২৪ সালে প্রায় দশ লাখ মানুষ ইউরোপে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে ৪ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল। তবে এই হার চলতি বছরের ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে অভিবাসন ইস্যুতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক চাপ কমাতে পারেনি।

কিউএনবি /অনিমা/ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫,/সকাল ৮:৫৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit