আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টানা কয়েক মাস ধরে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থার টালমাটাল অবস্থা। বিশেষ করে চলতি বছরের জুন থেকে দেশটির দেশের মোট উৎপাদন (জিডিপি) হার ওঠানামার মধ্যে ছিল। কখনো স্থিতিশীল, কখনও প্রবৃদ্ধির পতন হয়েছে।
তবে দেশটির নীতিনির্ধারকরা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে চেষ্টা করেছিলেন। তবে টানা দুই মাস পর অপ্রত্যাশিতভাবে তৃতীয় মাসেও এসেও জিডিপিতে পতন হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক সরকারি তথ্যে এই চিত্র উঠে এসেছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স (ওএনএস) জানিয়েছে, ধারাবাহিকভাবে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের পর অক্টোবর মাসেও জিডিপি শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কমে গেছে। অথচ বিশ্লেষকরা এই মাসে উল্টো শূন্য দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, লেবার সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সরকার গত মাসে বার্ষিক বাজেট ঘোষণা করার আগে ব্যবসা ও ভোক্তারা খরচ করা কমিয়ে দেন। কুইল্টারের বিনিয়োগ ব্যবস্থাপক লিন্ডসে জেমস উল্লেখ করেন, কর বৃদ্ধির জল্পনা ও তথ্য ফাঁস যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে ব্রেক টেনে দিয়েছে।
যদিও গাড়ি নির্মাতা জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার সাইবার আক্রমণের পর কার্যক্রম পুনরায় শুরু করায় অক্টোবর মাসে উৎপাদন খাতে কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়। তবে সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির সংকোচন বজায় থাকল।
দেশটির অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভস তার প্রথম বাজেটে ব্যবসার ওপর কর বাড়িয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্তকে দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বেকারত্ব বৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। এরপর নভেম্বরে তিনি কর্মীদের ওপরও নতুন করে কর বাড়ান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জিডিপি সংকোচনের এই তথ্য ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডকে আগামী সপ্তাহে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তের দিকে আরও এগিয়ে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অনেকে মনে করছেন, বাজেটের আগে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে প্রবৃদ্ধির হার কমে এসেছে।
কিউএনবি/অনিমা/১২ ডিসেম্বর ২০২৫,/সন্ধ্যা ৬:৫১