রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব চালু হয় দাসদের সন্তানের জন্য, ধনীদের নয়: ট্রাম্প

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৯৯ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে প্রথম দিনেই বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ জারি করেন ডনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকারও বাতিল করেন তিনি। তবে ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা ঠুকে দেন বিরোধীরা। একে ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করে এটি সাময়িক স্থগিত করে দেশটির একটি আদালতও।

চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট জানায়, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব চ্যালেঞ্জ করা মামলার শুনানি করবে আদালত। ফলে এখন আদালতের রায়ই ঠিক করবে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলে নাগরিকত্ব মিলবে কি না। সুপ্রিম কোর্টের ঘোষণার কয়েকদিন পর মঙ্গলবার বিষয়টি আবারও মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।
পলিটিকোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট তার জারি করা নির্বাহী আদেশের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, এ মামলায় তার প্রশাসন হেরে গেলে তা হবে ‘ধ্বংসাত্মক’। ট্রাম্প বলেন, ‘এই আইনটি আসলে দাসদের সন্তানদের জন্যই তৈরি হয়েছিল। সময়টা দেখলেই বোঝা যায়— গৃহযুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত। কোনো ধনী ব্যক্তি বিদেশ থেকে এসে এখানে পা রাখল এবং তার পুরো পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হয়ে গেল— এটার জন্য এই আইন তৈরি হয়নি।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়টি পুরোপুরি দাসদের সন্তানদের অধিকার রক্ষার জন্য চালু করা হয়েছিল। এখন মানুষ বিষয়টি বুঝতে শুরু করেছে। আদালতও সেটা বোঝে বলে আমার মনে হয়। আমরা এই মামলা হারলে সেটা হবে খুব ভয়াবহ।’ 
 
ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের মাধ্যমে এখানে জন্ম নেয়া লাখ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেয়ার সামর্থ্য রাখে না যুক্তরাষ্ট্র। গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার সেই সময়ের জন্যই এই নিয়মটি ছিল। 
 
মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পেতে হলে শিশুকে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানার মধ্যে জন্ম নিতে হবে এবং বাবা-মা যুক্তরাষ্ট্রের আইনগত অধিক্ষেত্রের আওতায় থাকতে হবে। তবে এই ‘অধিক্ষেত্রের আওতা’ কী— তা নিয়েই দুই পক্ষের ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
 
১৮৬৮ সালে হওয়া মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া যে কেউ স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেশটির নাগরিকত্ব পায়। এতে বলা হয়েছে— ‘যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ বা নাগরিকত্বপ্রাপ্ত এবং এখানকার আইনগত অধিকারের আওতায় থাকা সকল মানুষই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক’। ১৯৫২ সালের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টেও একই ভাষ্য রয়েছে।
 
২০২২ সালের জানুয়ারির হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে থাকা অভিবাসীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ। যদিও কিছু বিশ্লেষক এখন সংখ্যা ১ কোটি ৩০ থেকে ১ কোটি ৪০ লাখ বলে উল্লেখ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া তাদের সন্তানদেরও নাগরিক হিসেবে গণ্য করে সরকার। এছাড়া বিদেশি নারীরা সন্তান জন্ম দেয়ার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন বলেও বহুবার অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প।

 

কিউএনবি/আয়শা/১০ ডিসেম্বর ২০২৫,/রাত ১০:৫৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

December 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৬
IT & Technical Supported By:BiswaJit