আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সোচিতে রুশ থিংক ট্যাংক ভলদাই ডিসকাশন ক্লাবের বার্ষিক অধিবেশেনে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, নয়াদিল্লি কখনোই এই ধরনের চাপের কাছে মাথা নত করবে না এবং নিজেদের কারও সামনে অপমানিত হতে দেবে না।
বক্তব্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে পুতিন তাকে ‘ভারসাম্যপূর্ণ এবং জ্ঞানী নেতা’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, মস্কো এবং নয়াদিল্লির মধ্যে ‘বিশেষ’ সম্পর্ক রয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ভারতের রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল আমদানি সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয়। এর কোনো রাজনৈতিক দিক নেই… ভারত যদি আমাদের জ্বালানি সরবরাহ প্রত্যাখ্যান করে, তবে নিশ্চিতভাবে তারা ক্ষতির মুখে পড়বে। অনুমান ভিন্ন, কেউ কেউ বলেন যে এটি প্রায় ৯-১০ বিলিয়ান মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হতে পারে।’
পুতিন প্রশ্ন রাখেন, যদি এই বাণিজ্য প্রত্যাখ্যান না করা হয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এবং ক্ষতি একই হবে। তাহলে কেন তা অস্বীকার করা হবে- যদি না তা অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ঝুঁকি বহন করে?
পুতিন বলেন, ‘ভারতের মতো দেশটির জনগণ নেতৃত্বের নেয়া সিদ্ধান্তগুলো সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। ভারতীয় জনগণ কখনো কোনো অপমান সহ্য করবে না। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে যতটা জানি, তিনিও এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না।’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন ও ভারতকে ইউক্রেন যুদ্ধের ‘প্রাথমিক অর্থায়নকারী’ বলে অভিহিত করার দুই সপ্তাহ পর ট্রাম্পের এ ধরনের মন্তব্য এল।
ভারতের বিরুদ্ধে রাশিয়ান তেল কেনা অব্যাহত রাখায় ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নের অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ান তেল কেনার শাস্তি হিসেবে ভারতীয় পণ্যের ওপর আরও বেশি শুল্ক আরোপের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। এর ফলে ভারতের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বেড়ে তা ৫০ শতাংশে পৌঁছে যা যেকোনো আমেরিকান বাণিজ্য অংশীদারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ।
সূত্র: আরটি
কিউএনবি/আয়শা/০৩ অক্টোবর ২০২৫,/বিকাল ৩:৫০