ডেস্ক নিউজ : পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ রোববার রাত ৯টা ২৮ মিনিটে শুরু হয়েছে ২টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত চলে। ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর আবারও এ অঞ্চল থেকে দেখা যেতে পারে এমন বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য। বিরল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন কোণের মানুষ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা বাজতেই গ্রহণ লাগে চাঁদে।
রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ধীরে ধীরে আংশিক গ্রহণের পর্যায়ে পৌঁছতে থাকে চাঁদ। অবশেষে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ অবতারণা ঘটে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের। চাঁদ তখন সম্পূর্ণরূপে পৃথিবীর ছায়ার নিচে চলে আসে, যাকে বলা হয় পৃথিবীর উপচ্ছায়া অঞ্চল।
রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হওয়া এ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ চলে রাত ১২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। এরপর ধীরে ধীরে আবার আংশিক গ্রহণের পর্যায়ে প্রবেশ করে চাঁদ, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। অবশেষে মধ্যরাত ১টা ৫৬ মিনিটে পূর্ণিমার সাদা আলোয় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে চাঁদ। বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ ছিল এটি, যা শেষ হয় রাত ২টা ২৭ মিনিটে।
নিঁখুত এ মহাজাগতিক খেলায় একই সরলরেখায় ছিল চাঁদ, পৃথিবী ও সূর্য। দীর্ঘ সময় ধরে গ্রহণ চলার অন্যতম কারণ এটি। আর ৮২ মিনিট (১ ঘণ্টা ২২ মিনিট) ধরে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের কারণে রক্তাভ দেখাচ্ছিল চাঁদকে।
বাংলাদেশ ও ভারতের আকাশে আবারও এমন পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখতে অপেক্ষা করতে হবে অন্তত দুই বছর। ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর আবারও এ অঞ্চল থেকে দেখা যেতে পারে এমন বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য। বিখ্যাত মহাকাশবিজ্ঞানী এবং ভারতের বিড়লা প্ল্যানেটেরিয়ামের সাবেক পরিচালক দেবীপ্রসাদ দুয়ারির বরাতে এমনটাই জানিয়েছে ইটিভি ভারত।
কিউএনবি/আয়শা/০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, /রাত ৯:১৪