সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ১০:০৮ অপরাহ্ন

তিস্তার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি প্লাবিত অঞ্চলের মানুষজনের

‎জিন্নতুল ইসলাম জিন্না,‎লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • Update Time : সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৬ Time View

‎‎জিন্নতুল ইসলাম জিন্না,‎লালমনিরহাট প্রতিনিধি : কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পর তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও একদিন পর ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করেছে।‎সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ০০ মিটার, যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচে (স্বাভাবিক ৫২.১৫ সেন্টিমিটার)।‎এর আগের দিন, রোববার (৩ আগস্ট) এই পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, নদীর পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট এখনো খুলে রাখা হয়েছে।


‎পাউবো সূত্র জানায়, টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পানির প্রবাহে হঠাৎ করে নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। এর ফলে রোববার রাতেই লালমনিরহাট জেলার তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে হাজারো পরিবার। ডুবে গেছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের। অনেক এলাকায় সড়কপথ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় নৌকা ও ভেলা এখন একমাত্র ভরসা।


‎পানি বৃদ্ধির ফলে পাটগ্রাম, আদিতমারী, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলার নতুন নতুন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাটগ্রামের দহগ্রাম, গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী ও ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈইলমারী ও নোহালী, আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া ও পলাশী এবং সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে।


‎মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। মহিষখোচা ইউনিয়নের রিয়াজুল হোসেন বলেন, “গতকাল ও পরশু থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছিল। তারপর পানি বাড়তে থাকে। গরু-ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছি। এখনো কোনো জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কেউ খোঁজ নেয়নি।”‎‎গোবর্ধনের জালাল হোসেন জানান, “সারারাত পানি ঢুকেছে, রান্নাবান্না বন্ধ। বাচ্চারা স্কুলেও যেতে পারছে না। কেউ দেখতে আসছে না।”পাউবো লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুণীল কুমার বলেন, “রোববার তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। বর্তমানে তা কিছুটা কমে বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে। তবে নিম্নাঞ্চলে এখনো সতর্কতা জারি রয়েছে।”


তিনি আরও বলেন, রংপুর বিভাগের *তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল গত ২৪ ঘন্টায়  বৃদ্ধি পেয়েছে ; আগামী ২ দিন নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি এবং পরবর্তী ১ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে । আগামী ২ দিনে তিস্তা নদীর পানি সমতল বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা উক্ত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে এবং জেলার সংলগ্ন উক্ত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।এদিকে, প্লাবিত এলাকার মানুষ দ্রুত ত্রাণ ও সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।

কিউএনবি/অনিমা/৪ আগস্ট ২০২৫/সন্ধ্যা ৬:৩৪

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

August 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit