ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের বলেছেন, সাদিক কায়েম ভাই কখনো চাঁদাবাজি করছেন বলে আমি শুনি নাই; কিন্তু তিনি শুধু ক্ষমতার হিস্যাটা-ই চেয়েছেন। অভ্যুত্থানে তাদের অবদান, ত্যাগ অনুযায়ী হিস্যা বুঝে পেতে চেয়েছেন। সব সমস্যার মূল হচ্ছে এই ‘যথাযথ হিস্যা না পাওয়া!’
তিনি আরও লেখেন, শুরুতে সবকিছু ভালোই চলছিল, কিন্তু ঝামেলা বাঁধলো কিছুদিন পরে। ঐ দুই ব্যক্তি সচিবালয় ঘুরে ঘুরে আসিফ-নাহিদের নাম বলে বিভিন্ন ব্যক্তির বিষয়ে সুপারিশ করতেছেন, সেটা আবার আসিফ-নাহিদকে না জানিয়েই। এই নেতা আরও লেখেন, বিষয়টা সমীচীন মনে করে নাই আসিফ-নাহিদ। কারো কনসার্ন ছাড়া এইভাবে নাম বিক্রি করা সঠিক মনে করেন নাই তারা। পরবর্তীতে লিঁয়াজো করা জামায়াত শিবিরের ওই দুই ব্যক্তির নামে মন্ত্রণালয়গুলোতে চিঠি পাঠানো হয়। আসিফ, নাহিদের নাম ভাঙিয়ে এই দুই লোক তদবির করতে আসলে যেন গ্রহণ করা না হয়, চিঠিতে এই মর্মে ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়। তার পরপরই সাদিক কায়েম ভাই এক রাতে আমাকে ফোন দিলেন, দেখা করতে চান। সন্ধ্যা থেকে রাত চারটা পর্যন্ত ম্যাসেজ দিলেন, আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ছিলাম।
কিন্তু ভাইয়ের পীড়াপীড়িতে ওইদিন রাতেই দেখা করতে হলো। চারটায় ভিসি চত্বরে দেখা করলাম। কথা চললো ফজরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায় যায় পর্যন্ত। সাদিক ভাইয়ের একটাই অভিযোগ-অনুযোগ, ‘তারা কি না করছে! অভ্যুত্থানে এতো এতো অবদান, ত্যাগ; তারপরও তাদের প্রতি এখন ইনজাস্টিস করা হচ্ছে। মাহফুজ-নাহিদ-আসিফরা এখন তাদের কথা শুনতেছে না, তাদের সঙ্গে বিট্রে (বিশ্বাসঘাতকতা) করছে। মাহফুজরা কথা রাখে নাই!’
কিউএনবি/আয়শা/৩১ জুলাই ২০২৫,/রাত ১০:৩০