বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন

টানা বর্ষণে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত সড়কে ভাঙন

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫
  • ১০৪ Time View

ডেস্ক নিউজ : টানা বর্ষণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে সীমান্ত সড়কের বিভিন্ন অংশে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলা থেকে আমতলী মার্ট পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ জনবহুল সড়কের বেশিরভাগ স্থানে মাটি ধসে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সদর ইউনিয়নের চাকঢালা এলাকার প্রবেশপথে বড় আকারের ধসে ভারী যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। ফলে চাকঢালা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাও প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

এ সড়ক দিয়েই প্রতিদিন সীমান্তবর্তী চাকঢালা এলাকার হাজারো মানুষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও কৃষকরা যাতায়াত করে থাকেন।  বৃষ্টিতে ধসের কারণে শুধু সাধারণ মানুষের ভোগান্তিই বাড়েনি, চাকঢালায় উৎপাদিত কৃষিপণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহণ কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন সীমান্ত সড়কটি দুই বছর আগে সংস্কার করা হলেও তা ছিল পরিকল্পনাহীন ও অপর্যাপ্ত। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই আবারও ভাঙনের কবলে পড়েছে সড়কটি।  সঠিকভাবে ড্রেনেজ ও গাইডওয়াল নির্মাণের অভাবেই এমন পরিস্থিতর সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ, চাকঢালা বাজারের ব্যবসায়ী মো. কামাল ও মহিছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিবছর বর্ষায় সড়কের পাশে ছড়ার পানি বেড়ে গিয়ে সড়কের মাটি সরে যায়। গাইডওয়াল নির্মাণ না করলে একে একে পুরো সড়কটি বিলীন হয়ে যাবে।

তারা আরও বলেন, সীমান্তবর্তী হওয়ায় সড়কটি ১১ বিজিবির নিকুছড় ও চাকঢালা বিওপি ক্যাম্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিজিবি সদস্যদের যাতায়াত, রসদ সরবরাহ ও প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য সড়কটি ব্যবহৃত হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের প্রশাসক মাহবুব এলাহী বলেন, ‘উপজেলার খাদ্যশস্য উৎপাদনের বড় একটি অংশ আসে চাকঢালা এলাকার গ্রামগুলো থেকে। ভাঙনের কারণে সেই পণ্য পরিবহণ ব্যাহত হচ্ছে।  সড়কের বিভিন্ন অংশ ইতোমধ্যে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে, যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

সড়কটির দুরবস্থার বিষয়টি জানতে চাইলে ১১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম কফিল উদ্দিন কায়েস বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি। দ্রুত সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে জানানো হবে।’

এ বিষয়ে মন্তব্য নিতে বান্দরবান জেলা সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাখায়ত হোসেনের ব্যবহৃত নাম্বার একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/৩০ জুলাই ২০২৫,/বিকাল ৩:৪৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit