স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্ট ড্র দিয়ে শেষ হলেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ইংল্যান্ড দলের। বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন দলটির অধিনায়ক বেন স্টোকস। ম্যাচের শেষ দিনে ভারতের দুই ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজা ও ওয়াশিংটন সুন্দর যখন শতরানের কাছাকাছি, তখন হঠাৎ করেই খেলা থামানোর প্রস্তাব দেন স্টোকস। তিনি এগিয়ে এসে ভারতের খেলোয়াড়দের সঙ্গে করমর্দনের মাধ্যমে ড্র মেনে নিতে বলেন। তবে ভারত সেই প্রস্তাবে সায় না দিলে রেগে যান স্টোকস।
এই ঘটনা নিয়ে ফের আলোচনায় উঠে এসেছে খেলার চেতনা বা স্পিরিট অব দ্য গেম-এর প্রসঙ্গ। এমন আচরণের পর স্টোকসের সমালোচনা করেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার।
তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত যা দেখা গেছে, তা একটি দলে হতাশার বহিঃপ্রকাশ, যারা নিজেদের মাঠে সব সময় আধিপত্য দেখিয়ে এসেছে। বেন স্টোকস স্পয়েল্ড কিডের মতো আচরণ করেছে। সে আসলেই ছোট বাচ্চার মতো আচরণ করেছে।
মাঞ্জরেকার বলেন, বাজবল যুগে এমন ড্র খুবই বিরল। আবহাওয়ার কোনো বাধা ছাড়াই যে ড্র হয়েছে, সেটি ভারতের বিপক্ষেই প্রথম। ভারতের ব্যাটাররা যখন শতরানের এত কাছে, তখন খেলা বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়ে স্টোকস মূলত খেলার চেতনার বিপরীতে গেছেন।
ঘটনার সময় স্টোকস, জাদেজা এবং আরও কয়েকজন ভারতীয় খেলোয়াড়ের কথোপকথন স্টাম্প মাইকে ধরা পড়ে। তখন ভারতের লিড ছিল একশ’র বেশি, হাতে ছিল ৬ উইকেট। জাদেজা ও সুন্দর দুজনেই ব্যাটে সেট হয়ে শতকের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এই অবস্থায় খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তই ছিল স্বাভাবিক ও যৌক্তিক।
স্টোকসের এমন আচরণকে কেন্দ্র করে খেলার শেষে আরও একটি বিতর্কিত মুহূর্ত ঘটে। ইংল্যান্ডের তরুণ ক্রিকেটার হ্যারি ব্রুক ইচ্ছাকৃতভাবে ঢিলে বল করেন, যেন জাদেজা ও সুন্দর সহজে সেঞ্চুরি করতে পারেন— যা দেখে অনেকেই বিরক্ত হন এবং একে বিদ্বেষ বলেও আখ্যা দেন।
মাঞ্জরেকার এ প্রসঙ্গে বলেন, স্টোকস কি এমন করত, যদি তার দলের দুই ব্যাটার শতরানের দ্বারপ্রান্তে থাকত? আমার মনে হয় না সে তখন খেলা থামানোর প্রস্তাব দিতো। ভারত যেভাবে লড়াই করেছে, সেটাই ইংল্যান্ডের অধিনায়ককে চরমভাবে বিরক্ত করেছে।
তিনি বলেন, জাদেজা ও সুন্দর বহুক্ষণ ধরে ব্যাট করে শতরানের খুব কাছাকাছি পৌঁছেছে। এ অবস্থায় তাদের সেই অর্জনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতে চাওয়া স্পষ্টতই খেলার চেতনার পরিপন্থি।
কিউএনবি/অনিমা/২৮ জুলাই ২০২৫/বিকাল ৪:১৬