আটককৃতরা সবাই রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন অভিযান ও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিবেদককে বলেন, “স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে হোটেল সৈকতে অভিযান পরিচালনা করি। সেখানে ১৩ জন ব্যক্তি জুয়া খেলছিল। তাদেরকে আটক করা হয়েছে এবং জুয়া আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।”
তিনি আরও বলেন, “রাঙামাটি একটি পর্যটন শহর। এখানকার নিরাপত্তা ও পরিবেশ রক্ষা করতে আমরা বদ্ধপরিকর। আবাসিক হোটেল ব্যবসার আড়ালে কোনো অনৈতিক কর্মকান্ড বরদাশত করা হবে না।”পুলিশের এই সাম্প্রতিক অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে তারা বলছেন, “পর্যটননির্ভর এই শহরের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে হলে অপরাধের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে চলতে হবে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, শহরের কিছু আবাসিক হোটেল সন্ধ্যার পর থেকেই পরিণত হচ্ছে অপরাধীদের আশ্রয়স্থলে। নারী নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ, মাদক সেবন ও বিক্রি এবং জুয়ার আসর এসব হোটেলের নিয়মিত চিত্র।সম্প্রতি শহরের একটি হোটেলে নারী নিয়ে প্রবেশকারী এক যুবককে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে ছাড়া হয়েছে। আরেক হোটেলে গাঁজার দখল নিয়ে মাদকসেবীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।নদী সংলগ্ন কিছু হোটেলকে ঘিরে চলছে চোরাচালানও। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদ দিয়ে নৌকায় করে অবৈধ বিদেশি সিগারেট এনে গোপনে এসব হোটেলে মজুদ করা হয়।সচেতন মহলের দাবি, শহরের আবাসিক হোটেলগুলোতে নজরদারি ও পুলিশের অভিযান আরও বাড়াতে হবে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত অভিযান চালালে অনেক অপরাধী চক্রকে ধরা সম্ভব হবে।
কিউএনবি/অনিমা/২২ জুলাই ২০২৫,/সকাল ১১:০৯