ডেস্ক নিউজ : রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সাত দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ শুরু হয়েছে।
শনিবার দুপুর ২টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াতে ইসলামীর সাত দফা দাবি জানানো হয়েছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে। সেগুলো হল, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, জুলাইসহ সকল গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন এবং এক কোটির বেশি প্রবাসীর ভোটদানের ব্যবস্থা।
এদিকে জাতীয় সমাবেশ শুরুর আগে সকাল থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী।
এদিন সকাল থেকে সাত দফা দাবিতে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষ্যে রাজধানীতে মানুষের ঢল নামে। সমাবেশ শুরুর অনেক আগেই দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতিতে প্রায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা।
উদ্যানের বাইরেও রাজধানীর অনেক এলাকায় অবস্থান করছেন তারা। এই কর্মসূচিকে ঘিরে শনিবার সকাল থেকেই ঢাকামুখী মিছিল আর স্লোগানে উদ্যানজুড়ে সৃষ্টি হয় জনসমুদ্রে।
পুরো উদ্যানজুড়ে বসানো হয় জামায়াতের প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’। মঞ্চে টানানো ব্যানারে লেখা ‘জাতীয় সমাবেশ ২০২৫’। লাল কার্পেট ও অস্থায়ী ছাউনি দিয়ে তৈরি করা হয় অতিথি ও শহীদ পরিবার সদস্যদের জন্য আসন। মূল মঞ্চের আশপাশে রাখা হয় জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার, প্রবাসী প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য আসন।
নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার জন্য দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। হাইকোর্ট, মৎস্যভবন, শাহবাগসহ আশপাশের এলাকাজুড়ে তারা ভোর থেকেই বিভিন্ন গেটে আগত নেতাকর্মীদের গাইড করছেন। সমাবেশস্থলে বসানো হয়েছে ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন, ৩০০ মাইক, ভ্রাম্যমাণ টয়লেট, মেডিকেল বুথ ও নামাজের জন্য আলাদা জায়গা।
আগতদের জন্য খাবার পানির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
কিউএনবি/অনিমা/১৯ জুলাই ২০২৫,/বিকাল ৩:৫৭