শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে রেকর্ড ৩৫২ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যু ১ ফের ইরানে ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানাল কাতার ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ল আরও এক ঝাঁক ইরানি ড্রোন সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার কারাগারে ‌‘জয় ইরানেরই হবে’ হল না ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঢামেক শিক্ষার্থীদের, চলবে আন্দোলন যে তরুণরা দেশকে পুনরায় স্বাধীন করেছে তাদের মাঝে নজরুলের চেতনা জেগেছিলো – লতিফুল ইসলাম শিবলী জয়পুরহাটে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীর বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট জয়পুরহাটে জামায়াতের ইউনিট সভাপতিদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটে ছাত্রদের নিকটে মাদক বিক্রি, সেনাবাহিনীর অভিযানে আটক-৩

দুর্গাপুরে পাহাড়ী শিশুদের একমাত্র ভরসা ‘‘প্রকৃতির পাঠশালা’’

তোবারক হোসেন খোকন দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি ।
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
  • ২৮ Time View

তোবারক হোসেন খোকন দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার দূর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বারোমারী-লক্ষ্মীপুর গ্রামের আদিবাসী ও মুসলিম শিশুদের পড়াশোনার একমাত্র ভরসা হচ্ছে ‘‘প্রকৃতির পাঠশালা’’। স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে অনার্স করা নাজমুল তুহিন বিনা পারিশ্রমিকে শিশুদের লেখাপড়া করিয়ে যাচ্ছে। ০৮ (মে) বৃহস্পতিবার সকালে ওই গ্রামে স্থাপিত প্রকৃতির পাঠশালায় গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।

আশপাশের গ্রাম গুলো থেকে আসা গারো, হাজং ও মুসলিম জনগোষ্ঠির প্রায় ৫০ জন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিশুরা এখান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠ নিচ্ছে। এ কার্যক্রমে সন্তোষ্টি প্রকাশ করে কেউবা জায়গা কিনে দিয়েছেন বিদ্যালয়ের জন্য জায়গা, সেইসাথে গ্রামের সকলে মিলে পাঠশালার জন্য টিনের ছাউনি দিয়ে বানিয়েছেন একটি ঘর। পাঠশালার পরিধি বাড়াতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন নাজমুল তুহিন।

জানা যায়, গ্রামটিতে গারো, হাজং ও মুসলিম সম্প্রদায়ের বসবাস। কৃষিপ্রধান এসব পরিবারের অনেক শিশুই পুঁশিগত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। এছাড়া পরিবারগুলোর শিশুদের জন্য আশপাশের এলাকেতে নেই কোনো সরকারি বা বে-সরকারি বিদ্যালয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে এগিয়ে আসেন সুদুর ঢাকা থেকে নাজমুল তুহিন নামের এক যুবক। তিনি ওই এলাকার প্রকৃতিকে ভালোবেসে, অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে প্রায় ৫ বছর আগে ওই গ্রামেই গড়ে তোলেন এই প্রকৃতির পাঠশালা।

আশেপাশের শিশুরা প্রতিদিন সকালে পড়তে আসে পাঠশালাতে। এখানে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বইয়ের পাঠ গুলো শিক্ষা দেয়া হয় তাদের। প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের জন্য রাখা হয়েছে একজন অতিরিক্ত শিক্ষক। আর্থিক সংকটের জন্য নিভু নিভু অবস্থায় চলছে স্কুলটি। বর্তমানে অর্থের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।

এ নিয়ে নাজমুল তুহিন বলেন, এই বাচ্ছা গুলো আমার সন্তানের মতো। আমার স্বাধ আছে কিন্ত কোন সাধ্য নাই। এই বাচ্চাগুলো আগে স্কুলে ভালো রিজাল্ট করতো না। আমি চার পাঁচ বছর ধরে এখানে বিনা পারিশ্রমিকে শুরু করি এই পাঠশালা। কোনদিন একবেলা, কোনদিন দু‘বেলা খেয়ে তাদের পিছনে শ্রমদিয়ে যাচ্ছি। ওরা এখন নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে। স্কুলের ফলাফলও ভালো করছে। স্কুলের পরিধি বাড়াতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি

জমিদাতা রজনী কান্ত হাজং বলেন, ছোটবেলা আমার বাবা মারা গেছেন, অভাবের জন্য পড়াশোনা করতে পারিনি। পরবর্তিতে খুব কস্ট করে ¯œাতক পাশ করেছি। পিছিয়ে পড়া শিশুদের কথা ভেবে আমি ওই সীমান্তবর্তী এলাকায় পাঠশালার জন্য জায়গা কিনে দিয়েছে। এর সমৃদ্ধির জন্য সকলের সহযোগিতা চাই।

উপজেলা নিবাহী অফিসার নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, শিশুরা জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তাদের উজ্বল ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষিত করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। প্রকৃতির পাশে গড়ে ওঠা পাঠশালায় ইতোপুর্বে কিছু সহায়তা করেছি। পাঠদান সহজ করার জন্য প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন থেকে আরো সহযোগিতা করা হবে।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/০৮ মে ২০২৫, /সন্ধ্যা ৭:২২

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit