শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম

ভারতীয় নাগরিক ও চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৬২ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের অপরিশোধিত তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের বাণিজ্য ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতীয় এক নাগরিক ও চারটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন অর্থ বিভাগ অধীনস্থ ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল অফিস (ওএফএসি) জানায়, ব্রার মালিকানাধীন প্রায় ৩০টি জাহাজের মধ্যে অনেকগুলো ইরানের তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিটের অংশ হিসেবে কাজ করে। শ্যাডো ফ্লিট বলতে সাধারণত ইরান, রাশিয়া ও ভেনেজুয়েলার মতো নিষেধাজ্ঞার অধীন দেশের তেল পরিবহনে নিয়োজিত নৌবহরকে বোঝায়। এসব জাহাজের মালিকানা জটিল এবং গোপন এবং তারা অনেক সময় মানহীন সনদ ও বিমা নিয়ে পরিচালিত হয়।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় ব্রারের ভারতভিত্তিক দুটি প্রতিষ্ঠান-গ্লোবাল ট্যাঙ্কার্স ও বি অ্যান্ড পি সলিউশনস রয়েছে। আর দুটি প্রতিষ্ঠান হলো-প্রাইম ট্যাঙ্কার্স ও গ্লোরি ইন্টারন্যাশনাল, যা সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ম্যাক্সিমাম প্রেশার ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় গত তিন মাসে পাঁচ ধাপে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

ওএফএসির তথ্য মতে, ব্রারের কোম্পানিগুলো ইরানের জাতীয় তেল সংস্থা (এনআইওসি) ও ইরানি সামরিক বাহিনীর পক্ষে তেল পরিবহন করে। এই কোম্পানিগুলোর মালিকানাধীন জাহাজগুলো ইরাক, ইরান, আমিরাত ও ওমান উপসাগরের আশপাশে উচ্চ-ঝুঁকির জাহাজ থেকে জাহাজে স্থানান্তরের মাধ্যমে ইরানি তেল পরিবহন করে। পরে এই তেল অন্য কোম্পানির সঙ্গে মিশিয়ে ভিন্ন দেশ থেকে আসা বলে দেখানো হয় ও জাল নথির মাধ্যমে ইরানের সম্পৃক্ততা গোপন করা হয়।

ওএফএসি দাবি করেছে, ব্রার ইরানসমর্থিত ইয়েমেনের হুতি মিলিশিয়ার অর্থদাতা সাঈদ আল-জামালের সহযোগীদের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব কাজ পরিচালনা করেন।

মার্কিন এই সরকারি সংস্থাটি আরো জানায়, তারা ইরানের তেল রপ্তানি নেটওয়ার্ককে লক্ষ্য করে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে শেল কোম্পানির মাধ্যমে ব্যবসা, গোপন তেল মজুত, জাহাজ থেকে জাহাজে স্থানান্তর ও নথি জালিয়াতি।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, ইরানি সরকার অসাধু শিপিং কোম্পানি ও দালালদের ওপর নির্ভর করে তাদের তেল বিক্রি ও প্রভাব বিস্তারমূলক কার্যক্রম চালায়। যুক্তরাষ্ট্র এই অবৈধ নেটওয়ার্ক ধ্বংসে অঙ্গীকারবদ্ধ।

এর আগেও কয়েকটি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। যেমন গত বছরের অক্টোবরে ভারতভিত্তিক গাব্বারো শিপ সার্ভিসেসকে ইরানি তেল পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

একই বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে, রাশিয়ার ‘আর্কটিক এলএনজি ২’ প্রকল্প থেকে এলএনজি পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের নিবন্ধিত তিন শিপিং সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। প্রকল্পটির ওপরেও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।

কিউএনবি/অনিমা/১২ এপ্রিল ২০২৫,/দুপুর ১:০৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit