আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গেল ১৫ মাস ধরে গাজায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে ইসরাইলি বাহিনী। যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরাইলি সেনাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আদালতে ৫০টি অভিযোগ দাখিল করেছে ফিলিস্তিনপন্থি সংগঠন। এখন পর্যন্ত ফ্রান্স, ব্রাজিল, শ্রীলংকা, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, সার্বিয়া, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং গ্রিক সাইপ্রাসের আদালতে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধরত এক সেনা ব্রাজিলে বেড়াতে যায়। এ সেনার বিরুদ্ধে এক হাজারের মতো নিরীহ শিশু হত্যার অভিযোগ করে ফিলস্তিনপন্থি সংগঠন হিন্দ রাজাব ফাউন্ডেশন। অভিযোগের পর ব্রাজিলের আদালত পুলিশকে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিলে দ্রুত ব্রাজিল ছেড়ে পালিয়ে যান সেই সেনা।
এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। যুদ্ধক্ষেত্রে অপরাধের সঙ্গে জড়িত সেনাদের বাঁচাতে গণমাধ্যমের ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করল নেতানিয়াহু বাহিনী। নতুন নিয়ম অনুযায়ী গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় কর্নেল বা নিচের পদমর্যাদার সেনা সদস্যদের চেহারা প্রকাশ করা যাবে না। এর আগে এ নিয়ম শুধু পাইলট ও বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের জন্য ছিল।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানান, গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেয়ার সময় ইসরাইলের হয়ে যুদ্ধে অংশ নেয়া বিদেশি সেনাদের চেহারা এবং নাম গোপন রাখতে হবে। আর এ নিয়ম প্রতিটি যুদ্ধঅঞ্চলেই প্রযোজ্য হবে। এছাড়া আগের নিয়ম অনুযায়ী, যুদ্ধক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।
হিন্দ রাজাব ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা,চিলি ও আরও কয়েকটি দেশেও ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধী সেনাদে খুঁজে বের করতে তৎপরতা চালাচ্ছে। অন্যদিকে, ইসরাইলি সেনাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তাদের বাবা মায়েরাও। ইসরাইলের সরকারের কাছে লেখা চিঠিতে তারা বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের সন্তানের কোনো ক্ষতি হলে এর দায় নেতানিয়াহুকেই নিতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরাইল
কিউএনবি/আয়শা/১০ জানুয়ারী ২০২৫,/দুপুর ২:০৮