মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন

প্রসাধনী ব্যবহারের রকমফের

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩৮ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : একেবারে কমও না, আবার বেশিও না! সৌন্দর্যবর্ধনে প্রসাধনী ব্যবহারে পরিমাণ কিংবা প্রণালি নিয়ে এমন মধুর দোটানায় ভোগেন অনেকেই। সাধারণ বিষয়, তবে তাও অনেক সময় কপালে ফেলে চিন্তার ভাঁজ। কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা!

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কিন কেয়ারের পারফেক্ট রুটিন না থাকলেও কিছু নিয়ম রয়েছে, ত্বকে কতটুকু পণ্য ব্যবহার করতে হবে। কারণ, অতিরিক্ত পণ্যের ব্যবহারে উপকার মেলে না। অনেক সময় তা ত্বকের ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। এছাড়া অনেক বেশি অ্যাকটিভ প্রডাক্ট একসঙ্গে ব্যবহারের ফলে ত্বকে দেখা দিতে পারে অস্বস্তি, শুষ্কতা, লালচে ভাব এমনকি কেমিক্যাল বার্নও হয়ে যেতে পারে। আর প্রয়োজনের তুলনায় পণ্যের কম ব্যবহারে যে কার্যকারিতার ঘাটতি হয়, তার বড় প্রমাণ সানস্ক্রিন। পর্যাপ্ত পরিমাণে না মাখলেই বিপদ। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ, পণ্যের প্যাকে থাকা নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ে নেওয়ার। জেনে নিন প্রসাধন ব্যবহারের পরিমাণ কিংবা প্রণালি।

ক্লিনজার সাধারণত দুই ধরনের হয়। একটি মেকআপ রিমুভ করে দেয়, অন্যটি যেটা মেকআপ তুলতে কার্যকর নয়। মেকআপ রিমুভালের জন্য ব্যবহৃত ক্লিনজিং বাম বা অয়েল অল্প অল্প করে ব্যবহার শুরু করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না পুরো মেকআপ উঠে যাচ্ছে। আর ডাবল ক্লিনজিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে এর পরে জেল বা ফোমিং ক্লিনজার ব্যবহার করাই নিয়ম। সে ক্ষেত্রে এক পাম্প বা কয়েন সাইজ পরিমাণের ক্লিনজার নিলেই পুরো ত্বক পরিষ্কার করে নেওয়া যাবে। সঠিক পরিমাণে ব্যবহারে ২০০ মিলির বোতল ক্লিনজার টিকবে ৪-৫ মাস অব্দি।

টোনার বা এসেন্স ব্যবহারের সময় অনেকেই গোলাকার কটন প্যাড অথবা রিইউজেবল ক্লথ ব্যবহার করেন। কিন্তু এতে অনেকটা পণ্য অপচয় হয়। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ- সরাসরি হাতে টোনার বা এসেন্স ঢেলে নেওয়ার। পরিমাণটা পণ্যের গায়ের নির্দেশনা দেখে নেওয়াই ভালো। আর স্প্রে বোতলে টোনার থাকলে পাঁচ থেকে ছয়বার স্প্রে করে নিতে হবে ত্বকে। তবে মাইসেলার ওয়াটারের ক্ষেত্রে রিইউজেবল কটন প্যাড ব্যবহার করাই ভালো। ফর্মুলার ওপর নির্ভর করবে এক্সফোলিয়েটরের পরিমাণ। এ ক্ষেত্রে উৎপাদনকারীর নির্দেশনা মেনে চলাই ভালো। কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েন্ট ব্যবহারে নতুন? মুখে পাতলা এক লেয়ার দেওয়ার মতো এক্সফোলিয়েটর থাকলেই চলবে। আর ফিজিক্যাল এক্সফোলিয়েটরের ক্ষেত্রে টিউব বা বোতলে একবার চাপ দিলে যতটুকু বের হয় ততটুকুই যথেষ্ট।

ত্বকে টোনার যদি ভেজা অবস্থায় থাকে, তাহলে অল্প সেরাম নিলেই চলবে। তবে ফর্মুলেশনের ভিন্নতা থাকায় অনেক সময় হেরফের হতে পারে পরিমাণে। রেটিনল সাধারণত পি-সাইজ পরিমাণে হলেই চলে। আর ড্রপার ফর্মে থাকা সেরামগুলোর পাঁচ থেকে ১০ ফোঁটা যথেষ্ট। ত্বকের এই অংশ বেশ স্পর্শকাতর হওয়ায় ‘লেস ইজ মোর’ থিওরিই বেস্ট। সে ক্ষেত্রে পি-সাইজ পরিমাণ আই ক্রিম যথেষ্ট দুই চোখের জন্য। শুধু চোখের নিচের অংশে নয়, মেখে নিতে হবে ওপর এবং চারপাশজুড়ে। তর্জনী আঙুল ব্যবহার করে।

এক কিংবা দুই মিলিগ্রাম ময়েশ্চারাইজার জরুরি পার স্কয়ার সেন্টিমিটার ত্বকের জন্য। এক ডাইম থেকে নিকেল সাইজ পরিমাণের ময়েশ্চারাইজার এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট পুরো মুখত্বকের যত্নে। ব্যালেন্সড থেকে কম্বিনেশন ত্বকের জন্য নিকেল সাইজ ময়েশ্চারাইজার হলেই চলবে, যা দুটি আঙুলের লম্বার সমান অথবা অর্ধেক চা-চামচ পরিমাণের। ত্বক যদি শুষ্ক হয়, তবে একটু বেশি ময়েশ্চারাইজার মাখলেই চলবে। বছরে যে সময়ই হোক, বাইরে বেরোলেই সানস্ক্রিন মাস্ট। এখানেই খাটবে সেই আগের সূত্র। প্রতি স্কয়ার সেন্টিমিটার ত্বকের জন্য প্রয়োজন হবে দুই মিলিগ্রাম পণ্য। এক আউন্স সমপরিমাণ। যা দিয়ে শুধু মুখত্বক নয়, মেখে নেওয়া যাবে দেহের খোলা অংশও।

কিউএনবি/অনিমা/৩১ ডিসেম্বর ২০২৪,/দুপুর ২:৪৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

September 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit