লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : বেড়েছে শীতের প্রকোপ। এই সময়ে হাড়কাঁপানো শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। ঘরে ঘরে শর্দি, কাশি, জ্বর লেগেই আছে। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে অনেকের। পুরো মৌসুমটায় নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞদের চেম্বারে রোগীদের ভিড় দেখা যায়।
এই সময় বায়ু দূষণের পরিমাণও অনেক বেড়ে যায় যা শ্বাসকষ্টের সবচেয়ে বড় কারণ।
শ্বাসকষ্টের দুটি ধরন
এর মধ্যে অ্যাকিউট বা তীব্র ধরনের, যা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তীব্র শ্বাসকষ্টে রূপান্তরিত হয়। দ্বিতীয়টি হল ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট, যার তীব্রতা প্রথমে কম থাকে, পরে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং খারাপের দিকে যায়।
ফুসফুসের ভেতরে এক রকমের তরল নিঃসৃত হয়, যা ব্রঙ্কিয়াল নিঃসরণ বলে। এই তরলের সাহায্যে শ্বাসতন্ত্রের ভেতরে থাকা সিলিয়া কোষ, শ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে ঢুকে পড়া ধুলাবালি ও জীবাণুকে বের করে দেয়। কিন্তু বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ার কারণে শ্বাসতন্ত্রে শুষ্কভাব তৈরি হয়।
এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়ার কারণে বঙ্কিয়াল নিঃসরণ কমে যায়। শ্বাসতন্ত্রে শ্বাসকষ্ট-সহ বিভিন্ন রকমের রোগের সৃষ্টি হয়।
শীতকালে বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরা উচিত। বিশেষ করে যাদের শ্বাসের সমস্যা রয়েছে, তারা এই সময়ে মাস্ক ব্যবহার করলে এই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।
লেখক: ডা. আয়শা আক্তার
উপপরিচালক, ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতাল।
কিউএনবি/আয়শা/১৩ ডিসেম্বর ২০২৪,/বিকাল ৩:৩০