শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বাংলাদেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে অপতথ্য ছড়াচ্ছেন শোয়েব চৌধুরী: প্রেস উইং অর্থনীতির ভিত সমৃদ্ধ করতে টেকসই সমুদ্রনীতি গড়তে হবে: প্রধান উপদেষ্টা সময় এসেছে দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার: মির্জা ফখরুল ফরিদপুরে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু ‘রোগীরা শ্বাসকষ্টে ভুগছে’—বিস্ফোরণের ধোঁয়া নিয়ে উদ্বেগ ইরানে মনিরামপুরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা খিয়ার মির্জাপুর জামে মসজিদের নতুন কমিটি গঠন  সংঘাত বন্ধে ইরানকে কূটনৈতিক প্রস্তাব দেবে ফ্রান্স ইরানে হাসপাতালে হামলার প্রমাণ আন্তর্জাতিক সংস্থায় পাঠাবে রেড ক্রিসেন্ট ২০২৪ সালে শিশুদের প্রতি সহিংসতা ‘ভয়াবহ মাত্রায়’: জাতিসংঘ

শীতে যেভাবে ধরে রাখবেন ত্বকের কোমলতা

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩৪ Time View

লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক :  ডেস্ক : শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে বায়ুমণ্ডল ত্বক থেকে পানি শুষে নেয়। এতে ফাটতে থাকে ত্বক, ঠোঁট ও পায়ের তালু। মানবদেহের ৫৫ শতাংশ পানি। এর মধ্যে ত্বক নিজেই ধারণ করে ১০ ভাগ। ত্বক থেকে পানি বেরিয়ে গেলে ত্বক নির্জীব হয়ে পড়ে।

আমাদের ত্বকে থাকে ঘর্ম ও তেলগ্রন্থি, যেখান থেকে অনবরত তেল ও ঘাম বের হয়। এই ঘাম ও তেল মিলে এক ধরনের আবরণী তৈরি করে, যা ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। শীতে ত্বকের গ্রন্থি থেকে ঘাম বা তেল কোনোটাই বেশি তৈরি হতে পারে না। তাই প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। শুষ্ক আবহাওয়ায় দ্রুত আর্দ্রতা হারায় আমাদের ত্বক। ফলে ত্বকের রুক্ষতা বাড়ে। শীতে কীভাবে ত্বকের কোমলতা ধরে রাখবেন সেই বিষয়ে রইল বিস্তারিত-

ত্বক পরিষ্কার রাখুন

শীতে বাতাসে ধুলাবালির পরিমাণ বাড়ে। এই ধুলাবালির সংস্পর্শে এলে ত্বকে চুলকানি, ঘামাচিসহ বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। এ জন্য শীতেও নিয়ম করে প্রতিদিন গোসল করুন। ঠান্ডা পানিতে কষ্ট হলে গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। তবে বেশি গরম একদমই নয়। দিনে কয়েকবার হাত, মুখ ও পা ধোয়াও জরুরি। শীতের রাতে ঘুমানোর আগে পায়ে গ্লিসারিন মেখে ঘুমান। পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।

শীতেও সানস্ক্রিন

অনেকে মনে করেন, সানস্ক্রিন শুধু গরমকালে ব্যবহার করতে হয়। ধারণাটি ভুল। শীতে রোদ আরামদায়ক হলেও ত্বকের ওপর এর অতিবেগুনি রশ্মি বিরূপ প্রভাব ফেলে। শীতে রোদ যতই আরামদায়ক হোক, সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হওয়ার আধঘণ্টা আগে এসপিএফ ১৫-৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। তবে সম্ভব হলো ভালো মানের ময়েশ্চারাইজারসমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।

নিয়ম মেনে লোশন

শীতে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে কোমলতা এনে দিতে ভালো উপকার দেয় প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ লোশন। গোসলের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ত্বক ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। দিনে বা রাতে যে কোনো সময় লোশন ব্যবহার করা যায়। আবার রাতে ঘুমানোর আগে হাত-মুখ ধুয়ে লোশন মেখে নিন। ২৪ ঘণ্টা শুষ্কতা থেকে রেহাই পাবে আপনার ত্বক।

উইন্টার কেয়ার

১। বাজারে নানা ধরনের শীতকালীন প্রসাধনী পাওয়া যাচ্ছে। সেসব থেকে ভালো পণ্যটি বেছে নিতে ভুলবেন না। শীতকালীন সুরক্ষায় কোহিনূর কেমিক্যালের বিউটিনা এবং ফ্রুটির পণ্যগুলো হতে পারে সে ক্ষেত্রে বেস্ট অপশন।

২। শীত মৌসুমে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং ফাটল রোধ করতে পমেড ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের কালো দাগ দূর করে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ও লাবণ্যময়।

৩। অ্যালোভেরা এবং কোকোয়া বাটার সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার লোশন এ সময় বেশ কার্যকরী। এর ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠবে নরম, কোমল ও সতেজ।

৪। ত্বকের রুক্ষতা রোধে শতভাগ প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধ গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে আপনার ত্বককে করবে নরম, কোমল ও লাবণ্যময়।

৫। জোজোবা অয়েল ও ভিটামিন ই- সমৃদ্ধ পেট্রোলিয়াম জেলি বরাবরই ত্বকের ফাটল এবং ঠোঁটের সুরক্ষায় ভীষণ কার্যকরী। যা ত্বকের ফাটল রোধ করে আর্দ্রতা ধরে রাখে।

৬। ঠোঁট ফাটল ও শুষ্কতা রোধে কোকোয়া বাটার, ভিটামিন সি ও ভিটামিন সমৃদ্ধ লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন। এটি ঠোঁটের সুরক্ষায় রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে।

৭। একইভাবে কোকোয়া বাটার সমৃদ্ধ লিপ জেল ঠোঁটের সুরক্ষায় দারুণ কার্যকরী। তাই শীত মৌসুমে পকেটে থাকুক এক টিউব লিপ জেল।

৮। বাড়তি সুরক্ষায় এসেনশিয়াল অয়েলের কয়েক পদ

ব্ল্যাক কামিন সিড অয়েল

প্রাচীন মিসর থেকে ব্ল্যাক কামিন সিড অয়েল বা কালো জিরা তেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি প্রদাহ উপশম করে, নিরাময় দ্রুত করে, সিবাম উৎপাদনে ভারসাম্য আনে ও ত্বকের লোমকূপকে পরিষ্কার করে। ব্রণের প্রাদুর্ভাব দমাতেও এ তেল কার্যকর। ত্বকের প্রাকৃতিক গর্ত বা লোমকূপ সহজে বন্ধ হয়ে গেলে অথবা ব্রণের প্রবণতা থাকলে ত্বকের সুরক্ষায় নিয়মিত ব্ল্যাক কামিন সিড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের দাগ দূর করতে এমন ফেস অয়েল ব্যবহার করতে পারেন যেখানে ব্ল্যাক কামিন সিড, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ও লিকোরিস রুটের সমন্বয় রয়েছে।

টি ট্রি অয়েল

যেসব তেল নিয়ে ভালোভাবে গবেষণা করা হয়েছে তাদের একটি হচ্ছে টি ট্রি অয়েল এবং ডার্মাটোলজিতে এই তেলের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। এই শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল তেলটি সংগ্রহ করা হয় টি ট্রি এর পাতা থেকে (চা গাছ থেকে গ্রিন টি ও ব্ল্যাক টি তৈরি করা হয় সেটা নয়)। ব্রণের কার্যকর ঘরোয়া চিকিৎসা ও বেনজোয়েল পারঅক্সাইডের মৃদু বিকল্প হিসেবে তিন থেকে পাঁচ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল ২০ থেকে ৪০ ফোঁটা হ্যাজেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের সৌন্দর্য বেড়ে যায়, কিউটিকল বা নখের গোড়ার ত্বক নরম হয় ও অ্যাথলেটিস ফুট সেরে ওঠে।

রোজহিপ অয়েল

বিটা-ক্যারোটিন, রেটিনয়েক অ্যাসিড ও এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডে (ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬) সমৃদ্ধ একটি তেল হচ্ছে রোজহিপ অয়েল। সাধারণত শুষ্কতা ও বয়সজনিত ত্বকের দুর্দশা কমাতে এ তেল ব্যবহার করা হয়। প্রকৃতপক্ষে ক্লিনিক্যাল গবেষণায় দেখা গেছে, অর্গানিক রোজহিপ অয়েল ত্বকের ক্ষতজনিত দাগ ও বলিরেখার উপস্থিতি কমাতে পারে। ত্বকে ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগের আগে রোজহিপ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

হিবিসকাস অয়েল

কোল্ড-প্রেসড হিবিসকাস অয়েল বা জবা তেল তৈরি করা হয় জবার পুষ্টিকর বীজ থেকে। এ তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ই ও এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে- এসব কিছু ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত রাখে। ত্বকে আর্দ্রতার মাত্রা বাড়াতে, ত্বকের ভাঁজ কমা ও নমনীয়তা বাড়াতে রাতে এ তেল মাখতে পারেন।

রঙিন শাক-সবজি খেতে হবে

শীতকালে প্রচুর শাক-সবজি পাওয়া যায়। এ সময় বেশি বেশি রঙিন শাক-সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। শীতে পানি পানের পরিমাণ কমে যায়। তাই জোর করে হলেও পানি পান করুন।

লেখা : ফেরদৌস আরা

কিউএনবি/অনিমা/০৫ ডিসেম্বর ২০২৪,/রাত ৯:১৩

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit