রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন

গাজায় হামলা : কাঁপতে কাঁপতে শিশুটি বলল ‘আমি কি মারা যাচ্ছি’?

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫৩ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজায় আবারও বর্বর হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।  বৃহস্পতিবার গাজার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে চালানো এই ভয়াবহ আক্রমণে অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহতদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর।  

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত রাফিদাহ স্কুলে এই হামলা চালানো হয়, যেখানে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল। হামলার পর শিশুদের গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রক্তাক্ত মুখের শিশুদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে আনা হচ্ছে। তাদের অনেকেই চিৎকার ও কান্নাকাটি করছিল। এক শিশুকে মেঝেতে শুইয়ে রাখা হয়, যার শরীর পুড়ে গেছে। সে আতঙ্কে কাঁপছিল এবং এক পর্যায়ে হাসপাতালের কর্মীকে জিজ্ঞেস করে, “আমি কি মারা যাব? কী হয়েছে?”  

ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে, ওই স্কুলটিতে হামাসের যোদ্ধারা আশ্রয় নিয়েছিল, যার কারণে সেখানে হামলা চালানো হয়। তবে হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নারী ও শিশু, যা তাদের দাবির বিপরীত চিত্র উপস্থাপন করে।  

হামলায় বেঁচে যাওয়া ফিলিস্তিনি আয়মান আবু খোসা বলেন, হামলাটি আমাদের সবাইকে অবাক করেছে। আমরা প্রতিদিনই মারা যাচ্ছি। পুরো বিশ্ব আমাদের বিক্রি করে দিয়েছে। প্রতিদিন সাংবাদিকরা আসেন, আমাদের ভিডিও করেন। কিন্তু আমরা শুধু মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছি।

একজন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাদের স্বজনদের খণ্ডিত মরদেহ খুঁজতে হয়েছে। আরেক নারী, ইফতেখার হামুদা, প্রশ্ন তুলেছেন, তারা কেন স্কুলে হামলা চালাচ্ছে? এখানে তো সব বাস্তুচ্যুত মানুষ, বেশিরভাগই নারী। আরেক নারীও জানান, এখানে কোনো হামাস ছিল না। আমরা কোথায় যাব? তারা আমাদের ঘরবাড়ি, তাঁবু, রাস্তা এবং স্কুলে সব জায়গায় হামলা চালাচ্ছে।

এই হামলা গাজার মানুষের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। বাস্তুচ্যুত ও নিরীহ মানুষদের ওপর ইসরায়েলের এই নির্যাতন ফিলিস্তিনিদের জীবনে নতুন করে ভয়াবহ দুর্দশা নেমে এসেছে।

কিউএনবি/অনিমা/১০ অক্টোবর ২০২৪,/রাত ১০:৪৫

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

October 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit