মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন

ঈদ ঘিরে আরও বেড়েছে মাংসের দাম

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৮৮ Time View

ডেস্ক নিউজ : সরেজমিনে কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস এক হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের বাইরে এলাকার বাজারগুলোয় বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ দুই দিন আগেও কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস এক হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

মাংসের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের খাসির মাংস বিক্রেতা মোতালেব বলেন, ঈদের কারণে খামারি ও আড়তদাররা দাম বাড়িয়েছেন। প্রতিটি খাসি ও ছাগলে প্রায় ৮০০-১০০০ টাকা দাম বেড়েছে। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে আমাদেরও একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়া ঈদের বাজারে এসব পোল্ট্রি পণ্যের দাম একটু বাড়ে বলে জানান এই বিক্রেতা।

একই কথা বলেন গরুর মাংস ব্যবসায়ী মো. আবির। তিনি বলেন, গরু আড়ৎ থেকে কিনে এনে জবাই করার পর প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৮০০ টাকার বেশি। সেখানে আমরা ৭৮০ টাকা করে বিক্রি করছি। ঈদের সময় গরুর চাহিদা থাকে, তাই দাম একটু বাড়া স্বাভাবিক।

তবে মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। মহসিন নামের এক ক্রেতা বলেন, মাংসের দাম এমনিতেই বেশি। তার ওপর ঈদের কারণে আরও দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। রোজায় তো ভোক্তারা স্বস্তিতে ছিলই না, ঈদেও স্বস্তি নেই। এমনিতেই ঈদে নানা খরচের চাপ। তার ওপর মাংসের এই বাড়তি দাম আমাদের ওপর আরও চাপ বাড়াচ্ছে। এদিকে, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মুরগির দাম। গত দুই দিনের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ৫০ টাকার বেশি।

বর্তমানে প্রতি কেজি বড় ব্রয়লার মুরগি ২৬০ টাকা, ছোট ব্রয়লার মুরগি ২৭০ টাকা, সোনালী মুরগি ৩৮০ টাকা, লাল লেয়ার ৩৪০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, সাদা কক মুরগি ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দুই দিন আগেও প্রতি কেজি বড় ব্রয়লার মুরগি ২৪০ টাকা, ছোট ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা, সোনালী মুরগি ৩৭০ টাকা, লাল লেয়ার ৩২০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা, সাদা কক মুরগি ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে দাম আরও কম ছিল।

মুরগির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা সরবরাহের ঘাটতিকে দুষলেও বাজারে পর্যাপ্ত মুরগির সরবরাহ দেখা যায়। জিয়াউল হক নামের এক মুরগি বিক্রেতা বলেন, ঈদে অনেকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ায় সেখানে মুরগি বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে ঢাকায় মুরগি কম আসছে। যার কারণে দাম কিছুটা বাড়তি। তবে এটা ঈদের পর কমে যাবে।

মঞ্জু নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, কাপ্তান বাজারেই মুরগির দাম বেশি। তাই বাধ্য হয়ে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মুরগির দাম বাড়িয়েছেন।

জুয়েল নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, ক্রেতারা বলছেন বাজারে মুরগি নেই। কিন্তু আমি দেখছি বাজারে মুরগির কোনো সংকট নেই। সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা মুরগির দাম বাড়াচ্ছে। এটা উচিত না। ঈদের আনন্দে এটা আমাদের ওপর বাড়তি চাপ।

আফসার নামের আরেক ক্রেতা বলেন, মুরগির দাম অনেক বেশি৷ গরু-খাসির বাজারে তো আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষের যাওয়া অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছো। এখন মুরগির বাজারেও আসা বন্ধ হবে। গরু-খাসি এখন বড়লোকের খাবার। আমারা কয়দিন পর মুরগিও খেতে পারব না।

 

 

কিউএনবি/আয়শা/১০ এপ্রিল ২০২৪,/বিকাল ৫:২৮

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

আর্কাইভস

June 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৫-২০২৩
IT & Technical Supported By:BiswaJit