নিজস্ব প্রতিবেদক : এবারের সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোটগণনা কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগ সমর্থক নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং মারামারির ঘটনায় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি জালাল হামলার ভিডিও ফুটেজ ধারণ করার সময় যুবলীগ সমর্থকরা তার মোবাইল সেট কেড়ে নেন। ঘটনার ১৮ দিন পর যুবলীগ নেতা এডভোকেট নাহিদের মাধ্যমে মোবাইল সেটটি ফেরত পেলেন ঢাবির মাস্টার্সের এই ছাত্র জালাল আহমদ।
জানা গেছে, গত ৬ এবং ৭ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ গ্রহণের পর রাতভর নানা নাটকীয়তা শেষে ৮ মার্চ সকাল আটটার দিকে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থীদের অনুসারী এবং সম্পাদক পদে বিদ্রোহী প্রার্থী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হামলার ভিডিও ফুটেজ ধারণ করেন জালাল আহমদ। এ সময় সহকারী এটর্নী জেনারেল এডভোকেট সাইফুর রহমান সিদ্দিক সাইফ কে বেধড়ক মারধরের ভিডিও ফুটেজটি তার মোবাইল ক্যামেরায় ধারণকালে যুবলীগ সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইল কেড়ে নিতে চাইলে তিনি এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ সময় নাহিদ সুলতানা যুথী নিজেই মোবাইল কেড়ে নেন।পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক একজন সম্পাদক ব্যক্তিগতভাবে যুথীকে মোবাইল সেটটি ফেরত দেয়ার অনুরোধ করলে তিনি নির্বাচনের পর যোগাযোগ করতে বলেন। নির্বাচনের পর যুথী সহ কয়েকজন আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সহকারী এটর্নী জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিক সাইফ শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পাওয়ার পর যুথীর সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি রেসপন্স করেন নি।পরে যুথীর একজন সমর্থক আইনজীবী এডভোকেট নাহিদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আজ ২৫ মার্চ ঘটনার ১৮ দিন পর জালাল আহমদ এর মোবাইল থেকে ভিডিও ফুটেজটি তার মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে নিয়ে সেভ করার পর ভিডিও ফুটেজটি স্থায়ীভাবে মুছে ফেলে মোবাইল সেটটি ফেরত দেন।
জালাল আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন তিনি। ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে জালাল আহমদ বলেন,”সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে অতীতেও ভোট ডাকাতি এবং অনিয়মের অভিযোগ ছিল। তাই এবারের নির্বাচনে আমার গভীর দৃষ্টি ছিল। ফলে আরামের ঘুম হারাম করে ভোট গ্রহণ থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত আমি সবকিছুতেই নজর রেখেছি।৮ মার্চ সকালে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী এবং যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর সমর্থকরা মারামারিতে লিপ্ত হলে আমি পেশাগত দায়িত্ব থেকে ভিডিও ফুটেজ ধারণ করি।এ সময় আমার মোবাইল সেটটি কেড়ে নেয়া হয়।আজ যুথীর একজন সমর্থক এডভোকেট নাহিদ সেই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ স্থায়ীভাবে মুছে (পার্মানান্টলি ডিলেট) দিয়ে আমার মোবাইল সেটটি ফেরত দেন। ভিডিও ফুটেজটি প্রকাশ হলে অনেক কিছুই জাতির কাছে পরিস্কার হয়ে যেতো।
কিউএনবি/আয়শা/২৬ মার্চ ২০২৪,/সন্ধ্যা ৭:১৮