মো. সাইদুল আনাম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও নির্বাচন পরবর্তী বিষয়ের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনায় বোমা বিস্ফোরণে আহত তুফান ফকির (৪৮) নামে এক ব্যক্তির ১ মাস ১০ দিন পর (১৮ই ফেব্রুয়ারি) রবিবার ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। মৃত তুফান ফকির উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত ইয়ানবী ফকিরের ছেলে। এদিকে তুফান ফকিরের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রবিবার সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন পিয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ এলাকার সাধারণ মানুষ ও বেশ কয়েকটি প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে অনেকটাই পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে ওই গ্রামটি।এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত রাকিবুল হাসান।এ বিষয়ে পিয়ারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা বুলবুল জানান, রহিম ফকির ও আনোয়ার পরস্পরের আত্মীয়। জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে অতীতেও তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত ৮ জানুয়ারি সকালে এ নিয়ে আবারও তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফান ফকিরের মৃত্যু হয়েছে। আমি চাই এই ঘটনায় যারা প্রকৃত দোষী তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।সেই সাথে এলাকার নিরাপরাধ লোকজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুরের যে ঘটনা ঘটিয়েছে তারও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন এই জনপ্রতিনিধি।
উল্লেখ্য, গত ৮ই জানুয়ারি জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ ও নির্বাচন কেন্দ্রিক রেষারেষি নিয়ে রহিম ফকির ও আনোয়ার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রহিম ফকির ও আনোয়ার একে অপরের মামাতো ফুফাতো ভাই। দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে বোমা বিস্ফোরিত হলে তুফান ফকির মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়। এ ঘটনায় তুফান ফকিরের ছোট ভাই রহিম ফকির বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার ঘটনায় ঐদিনই তিনজনকে আটক করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
কিউএনবি/অনিমা/১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪/সন্ধ্যা ৭:০৩