স্পোর্টস ডেস্ক : ২৩ বছর বয়সী অঞ্জলি মেহেতার সঙ্গে মুম্বাই এয়ারপোর্টে দেখা হয়েছিল ১৭ বছর বয়সী শচীন টেন্ডুলকারের। ইংল্যান্ড সিরিজ শেষ করে ফিরছিলেন শচীন। আর নিজের মাকে আনতে গিয়েছিলেন অঞ্জলি। সেখানে প্রথম দেখাতেই দুর্বল হয় তাদের মন। পরবর্তী দেখায় শুরু হয় সেই দুর্বলতার ভাষা আদান-প্রদান।
সুখে সংসার করছেন শচীন টেন্ডুলকার ও অঞ্জলি মেহেতা। ছবি : সংগৃহীত
নিজের থেকে ৬ বছরের বড় হলেও মনে দেওয়া-নেওয়ায় শচীনের কাছে সেটি বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। ১৯৯৫ সালে নিজেদের ভালোবাসার স্বীকৃতি দিয়ে দুজনেই বসেন বিয়ের পিঁড়িতে। অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ ও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছেন প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার এই দলপতি ক্রিকেটের বাইরেও অনেক কিছু জিতেছেন। তার মধ্যে নিজের চেয়ে ২ বছরের বড় বেকি বোস্টনের মন জেতার বিষয়টি হয়তো সবকিছুর আগে উঠে আসবে।
২০১৩ সালে সিডনিতে রাতের বেলায় হাঁটছিলেন কামিন্স। সে সময়ে দেখা হয় বেকির সঙ্গে। কামিন্স তখন নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আসল পরিচয় বেকির খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়নি। একটি রেস্টুরেন্টে কামিন্সের ছবি দেখে সব বুঝে যান। সেখান থেকে তাদের কাছে আসার গল্প শুরু হয়। ২০২০ সালে আংটি বদলের পরে ২০২২ সালে সারেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
খুনসুটি থেকে প্রেম হয় প্যাট কামিন্স ও বেকি বোস্টনের। ছবি : সংগৃহীত
দুই জগতের বড় তারকা হিসেবে ধরা হয় বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মাকে। একজন ২২ গজের আঙ্গিনায় এবং আরেকজন সিনেমার পর্দায়। তবে দুজনেই ভালোবাসার যোগসূত্রে এক হয়ে গেছেন। কোহলি ৬ মাসের ছোট হয়েও সেটিকে গণ্যই করেননি। ২০১৩ সালে টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন ধারণ করার সময় কাছাকাছি হন দুজন। ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা এবং এরপরে পরিণয়। তবে সেসব হয়েছে গোপনীয়তার করিডরে। ২০১৭ সালে তাদের বিয়ের বিষয়টি সামনে আসে।
দুই জগতের তারকা বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা বাঁধা পড়েছেন একই সুতায়। ছবি : সংগৃহীত
পেস বোলারদের মধ্যে জাসপ্রিত বুমরাহ প্রতিপক্ষের কাছে এক আতঙ্কের নাম। তবে নিজের ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বেশ রোমান্টিক। ভালোবেসে নিজের চেয়ে ২ বছর ৭ মাসের বড় প্রেমিকাকে ২০২১ সালে বিয়ে করেন তিনি। ২০১৩-১৪ আইপিএলে বুমরাহর একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন সানজানা গণেশন। সেখান থেকেই শুরু হয় ভালোবাসা। এরপরে অর্ধযুগের প্রেম রূপ নেয় বিয়েতে।
বুমরাহ-সানজানার অর্ধযুগের প্রেম রূপ নেয় বিয়েতে। ছবি : সংগৃহীত
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের খাতায় নাম লেখান মোহাম্মদ শামি। ভারতীয় এই পেসারের উত্থান আইপিএলে দিয়ে। আইপিএল শামিকে অনেক কিছুই দিয়েছে। নিজের ক্যারিয়ার থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন, সবই যেন এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে আছে।
ক্রিকেটের মাঠ থেকে পরিচয় হয় মোহাম্মদ শামি ও হাসিন জাহানের। ছবি : সংগৃহীত
২০১২ সালে আইপিএল চলাকালীন মাঠে ছিলেন হাসিন জাহান, ছিলেন শামিও। যেখানে চিয়ারলিডার হিসেবে কাজ করছিলেন হাসিন। প্রথম দেখাতেই যেন পরিষ্কার বোল্ড হয়ে যান তিনি। গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এরপরে চিয়ারলিডার হিসেবে কাজ ছেড়ে দেন হাসিন। ২০১৪ সালে বিয়ে হয় তাদের। শত প্রতিকূলতার মধ্যে একটি ছিল হাসিনের বয়স। তিনি শামি থেকে ১০ বছরের বড়। তবে ভালোবাসার সামনে সেটি কেবল নস্যি হয়েই থেকেছে, কখনও বাধা হতে পারেনি।