ডেস্ক নিউজ : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, রমজান উপলক্ষ্যে প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে। ইতোমধ্যেই আরও কিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দেওয়া আছে। আশা করছি রমজানে ভোক্তাদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তিনি বলেন, আমাদের এখন ১৮ লাখ মেট্রিক টন চাল মজুত আছে। আরও ১৩ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে। রোজায় বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। কেননা রোজার পণ্যের মজুত আরও বাড়ানো হচ্ছে।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে রোববার এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম এবং বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর অ্যান্ড ডেপুটি চিফ অব মিশন ইয়ান হুয়ালং।
বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিসিসিআই) সভাপতি গাজী গোলাম মুর্তজা পাপ্পার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিসিসিআই’র সেক্রেটারি আল মামুন মৃধা, ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইআরএফ’র সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোজার জন্য ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানির কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যেই ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি এ বিষয়ে শিগগিরই একটি সিদ্ধান্ত হবে।
তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি আছে। আমরা চাই চীনা বিনিয়োগকারীরা এ দেশে এসে বিনিয়োগ করুক এবং এখান থেকেই পণ্য রপ্তানি করুক।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চীনের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সহজ করতে ইতোমধ্যেই ইউয়ানকে বাংলাদেশের মুদ্রা বাস্কেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শিগগিরই চীনের ব্যাংক এ দেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। ফলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লেনদেন আরও সহজ হবে।
কিউএনবি/অনিমা /০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪,/রাত ৯:৩১