আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জর্ডানে সিরিয়া সীমান্তবর্তী মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে আমেরিকা। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় বেশ কয়েকটি ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
তবে আমেরিকার প্রতিশোধমূলক এই হামলা ইরানের অভ্যন্তরে চালানো হবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের অভ্যন্তরে সরাসরি হামলা চালাবে না। শুধুমাত্র ইরানি ভূখণ্ডের বাইরে দেশটির সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে।
ইরানের অভ্যন্তরে হামলা চালালে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
আমেরিকার ওই শীর্ষ কর্মকর্তা আরও জানান, মার্কিন কর্মকর্তারা কয়েকদিন আগে থেকেই জানেন যে, প্রথম হামলা হবে আজ (শুক্রবার) রাতে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রথম ধাপের এই হামলা নিহত তিন মার্কিন সেনা সদস্যের মরদেহ স্থানান্তরের বিষয়টির সঙ্গে কোনওভাবেই সম্পর্কিত নয়। মূলত এই হামলাগুলোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সময় ও আবহাওয়ার অবস্থা-সহ বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সদর দফতর হোয়াইট হাউস বলেছে, শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে সিরিয়ায় চারটি ও ইরাকে তিনটি ইরানি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ৮৫টি লক্ষ্যবস্তু ছিল। এতে সময় লেগেছে মাত্র ৩০ মিনিট। আর এই হামলা স্পষ্টতই সফল।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, বিমান থেকে এসব হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে বি-১ বোমারু বিমানও ছিল। এসব বিমানে ১২৫টিরও বেশি নির্ভুল নির্দেশিত যুদ্ধাস্ত্র বহন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সিরিয়াসীমান্তবর্তী জর্ডানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হয়। এতে তিন মার্কিন সেনা নিহত ও ৪০ জনের বেশি আহত হয়। প্রতিশোধ হিসেবে এসব হামলা চালানোর দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: সিএনএন
কিউএনবি/অনিমা/০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪/সকাল ১১:০৩