লাইফ ষ্টাইল ডেস্ক : শীতের হোক কিংবা গরমের দুপুর— গরম ভাতের সঙ্গে অল্প পরিমাণে ঘি বা মাখন মিশিয়ে নিলে খিদে যেন আরও বেশি করে বেড়ে যায়। ঘি আর মাখনের সুবাস খাওয়ার আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই দুটোই কি সমান স্বাস্থ্যকর? নাকি কোনোটি এড়িয়ে যাওয়া উচিত। মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ঘি, মাখন এড়িয়ে চলেন। কেউ আবার বুঝতে পারেন না, কোনটি বেছে নেবেন? কোনটিতে ফ্যাট বেশি?
মাখন আর ঘি তর্কে চিকিৎসকেরা এগিয়ে রাখছেন ঘি-কে। মাখনে ঘিয়ের চেয়ে ফ্যাটের পরিমাণ কম। এছাড়াও ঘি মাখনের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর। ১০০ গ্রাম ঘিয়ে ক্যালোরির পরিমাণ ৬০০। সেখানে প্রতি ১০০ গ্রাম মাখনে রয়েছে ১০০০ ক্যালোরি। কিন্তু ঘি এবং মাখন দুই খাবারেই ফ্যাট আছে।
পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, কেবল ফ্যাট থাকলেই সে খাবার খারাপ বা ক্ষতিকর, এমন ধরে নেওয়ার কারণ নেই। ঘিয়ে যে ফ্যাট রয়েছে, তার মধ্যে বেশির ভাগই উপকারী ফ্যাট। শারীবৃত্তীয় নানা কাজে এ সব উপকারী ফ্যাটের প্রয়োজন হয়। তা ছাড়া ঘি ত্বকের পক্ষেও ভালো। ঘিয়ে থাকা ভিটামিন ‘ই’ এবং ‘কে’ ত্বককে সজীবতা দান করে। ফলে উজ্জ্বল হয় ত্বক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশির ভাগ মাখনই প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তৈরি। তাতে দুধের মধ্যে থাকা ফ্যাটের নির্যাস মেশে পানির সঙ্গে। তার সঙ্গে আবার যুক্ত হয় লবণ। এই অতিরিক্ত লবণ যোগ হওয়া প্রক্রিয়াজাত মাখন ঘিয়ের চেয়ে উপকারী নয়। ঘিয়ে যেখানে ৬০ শতাংশ দ্রবণীয় ফ্যাট রয়েছে, সেখানে মাখনে এর পরিমাণ মাত্র ৫১ শতাংশ। শরীরে দ্রবীভূত হয়ে যাওয়া ফ্যাটের পরিমাণ মাখনে কম। কিন্তু সব মিলিয়ে, চর্বি জমার ক্ষেত্রে মাখনের ভূমিকাই বেশি।
কিউএনবি/অনিমা/১২ ডিসেম্বর ২০২৩,/বিকাল ৫:৪০